জামদানি শিল্পের কাজ দমদম পার্ক ভারতচক্রে
দমদম পার্ক ভারতচক্রে এসে নিন ‘উড়ান’, তাক লাগবে জামদানির ইতিহাস
জামদানি শাড়ির এক আলাদাই তাৎপর্য্য রয়েছে। এক একটি শাড়ি যেন এক একটি শিল্প। কিন্তু এই শিল্পের পিছনে যে পরিশ্রম তার সম্পর্কে কি জানেন? এই জামদানি শিল্পকেই তুলে ধরেছে দমদম পার্ক ভারতচক্র।
এই বছর ২৪তম বর্ষে তাদের ভাবনা উড়ান, শিল্পী অদিতি চক্রবর্তী। তিনি জামদানি শিল্পকে এক আলাদা মাত্রা দিয়েছেন। বর্ধমানের পূর্বস্থলি থেকে এক ঝাঁক জামদানি শিল্পীকে নিয়ে এসে তিনি এবারের থিম সাজিয়েছেন।
মণ্ডপ নির্মাণও করা হয়েছে জামদানি শাড়িকে প্রাধান্য দিয়ে, যেখানে মণ্ডপের প্রতিটি কারুকার্যে রয়েছে এই শিল্পের ছোয়াঁ। নিখুঁত ও পরিপাটি কাজের এক অনন্য নিদর্শন এই দমদম পার্ক ভারতচক্র। জামদানি শিল্পের ইতিহাস রচিত হয়েছে সারা মণ্ডপ জুড়ে।
ছবির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে কী ভাবে শিল্পীরা কাজ করেন জামদানি শাড়ি নিয়ে তার বর্ণনা। মণ্ডপের আরেক অংশে জামদানির বিবর্তন ফটো ফ্রেমের মাধ্যমে কোলাজ করে সাজানো হয়েছে।
মণ্ডপের আরেক অংশে জামদানির সুতো উৎপাদন থেকে একটি সম্পূর্ণ জামদানি শাড়ি তৈরির যে যাত্রা তা ছবির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। শুধু তাই নয় এই শিল্পে সুতো বুননের যে কাজ, সেই পদ্ধতি মণ্ডপে শিল্পের আকারে তুলে ধরা হয়েছে।
মাতৃ প্রতিমা অপূর্ব সুন্দর। অসুর এখানে হাত জোর করে মা দুর্গাকে প্রণাম করছে। মণ্ডপের সিলিং বা ছাদের অংশে বস্তায় তুলো ভরে তার মধ্যে আলো দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেওয়াল সুতো বুননের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এবং জামদানি শিল্পের সঙ্গে জড়িত শিল্পীদের নিয়ে একটি স্তম্ভও তৈরি করা হয়েছে। কিছু অংশে সাদা জামদানি কাপড় পেঁচিয়ে গামলার মধ্যে ঝুলিয়ে রাখার যে পদ্ধতি তা দেখানো হয়েছে। সব মিলিয়ে লোহার কাজ তার উপর জামদানি শিল্প ও ক্রাফটের কাজ মিলিয়ে যে থিম তৈরি হয়েছে তা এক কথায় অনবদ্য।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy