বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে ঝামেলায় রং লাগল রাজনীতির। বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের এই গোলমালে বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল ইলামবাজার থানার ধরমপুর পঞ্চায়েতের গোপীনাথপুর এবং দেলরা। বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের তিনজনকে মারধর করে এবং এক সমর্থকের শ্লীলতাহানিও করে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপি-র কর্মীদের হামলায় তাদের দুই মহিলা সমর্থক আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে এই গোলমালের খবর পেয়ে গ্রামে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁশ কাটার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সন্ধ্যায় গোপীনাথপুরের এক তৃণমূলের সমর্থকের সঙ্গে ওই গ্রামেরই বাউরি পাড়ার কয়েকজন বিজেপি সমর্থকের গণ্ডগোল বাধে। ওই ঝামেলা রাতে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে মারামারির আকার নেয়। কয়েকটি বোমাও পড়ে। ওই ঘটনায় দুই মহিলা-সহ উভয় পক্ষের পাঁচ জন জখম হন। তৃণমূলের দুই মহিলা সমর্থককে ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। ওই সময়েই স্থানীয় দেলরা গ্রামের এক বিজেপি সমর্থকের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের ইলামবাজার ব্লক সভাপতি জাফারুল ইসলাম দাবি করেন, তাঁদের এক সমর্থককে তৃণমূল ছাড়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে শাসানি দিচ্ছিল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁর কাছে মোটা অঙ্কের তোলাও চাওয়া হয়েছিল। জাফারুলের দাবি, ‘‘তোলা না পেয়ে বুধবার রাতে তার বাড়িতে চড়াও হয় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁকে না পেয়ে বাড়ির লোকজনকে মারধর করা হয়। তাতে দুই মহিলা তৃণমূল সমর্থক জখম হন। বিজেপি-র কয়েকজনের বিরুদ্ধে আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’’ তৃণমূলের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ইলামবাজার ব্লক পর্যবেক্ষক তথা দলের জেলার অন্যতম সম্পাদক চিত্তরঞ্জন সিংহের পাল্টা দাবি, “তৃণমূলই আমাদের সমর্থকদের ওদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য দিচ্ছে। তা না মানতে চাওয়ায় আমাদের তিন সমর্থককে মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পরে লাগোয়া দেলরা গ্রামের আমাদের এক সমর্থকের শ্লীলতাহানিও করে ওরা।’’ তাঁর দাবি, তৃণমূলের ২৫ জনের নামে ইলামবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, কোনও তরফেই অভিযোগ জমা করা হয়নি। বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করেই দু’পক্ষের মধ্যে গোলমালের সূত্রপাত। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এলাকায় যাতে উত্তেজনা না ছড়ায় তার জন্য পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy