ভারতীয় ডাকঘর। —ফাইল চিত্র।
প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বিপাকে পড়েছেন কয়েক লক্ষ ডাকঘর গ্রাহক। যাঁদের বেশির ভাগই প্রবীণ নাগরিক। ক’দিন ধরে তাঁরা না পারছেন টাকা তুলতে, না পারছেন জমা দিতে। অন্যান্য সব কাজও আটকে। কারণ, রাজ্যের শতাধিক ডাকঘরে গত কয়েক দিন ধরে এই সমস্যার কারণে আর্থিক লেনদেন সম্পূর্ণ বন্ধ। ইতিমধ্যেই গ্রাহক এবং কর্মী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বেঙ্গল সার্কলের চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেলকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করার আর্জিও জানানো হয়েছে।
ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের গোড়াতেই প্রধান এবং শাখা ডাকঘরে যে সংস্থা নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত পরিষেবা দিত, তারা বেশ কিছু কারণে তা দেওয়া বন্ধ করেছে। ফলে যে ডাকঘরগুলিতে এই সংস্থা বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে নেট পরিষেবা চালাত তা-ও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সম্পূর্ণ স্তব্ধ আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত পুরো পরিষেবা। তবে যে ডাকঘরগুলিতে বিএসএনএলের নেট পরিষেবা ছিল, সেগুলি সচল রয়েছে বলেই খবর। পরিষেবা বন্ধ হওয়া ডাকঘরগুলিতে সম্পূর্ণ পরিকাঠামো চালানোর দায়িত্ব পেয়েছে বিএসএনএল। কিন্তু কত দিনে তা চালু হবে তার কোনও সদুত্তর দিতে পারছেন না কেউই।
সূত্রের খবর, কলকাতা-সহ রাজ্যে শতাধিক ডাকঘরে পরিষেবা বন্ধ। এর মধ্যে রয়েছে মধ্য কলকাতার লিট্ল রাসেল স্ট্রিট, মাদ্রাসা, খ্যাংড়াপট্টি, শেক্সপিয়র সরণির ডাকঘর। এ ছাড়াও, বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়ার একাধিক ডাকঘরে বন্ধ পরিষেবা। যদিও ডাক বিভাগ জানিয়েছে, দ্রুত গতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ চলছে। কিন্তু মাসের প্রথমেই তৈরি হওয়া এই সমস্যার কবে স্থায়ী সমাধান মিলবে তার উত্তর দিতে পারছেন না কেউ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল নীরজ কুমার বলেন, “এটা শুধু এ রাজ্যে নয়, গোটা দেশে হয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেকগুলি ডাকঘরে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। বাকিগুলির কাজও দ্রুত শেষ হবে। নিরন্তর পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি মিটবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy