বাইক চুরির তদন্তে নেমে চক্রের হদিস পেল বাঁকুড়ার পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
এ যেন কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে পাওয়ার মতো। একটি বাইক চুরির তদন্তে নেমে ১৪টি চোরাই বাইক উদ্ধার করল বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে আন্তঃজেলা বাইক চুরি চক্রের মূলচক্রী-সহ তিন দুষ্কৃতীকে। ওই চক্রের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৩ জুলাই বাঁকুড়ার রোল গ্রামে এক জনের বাড়ির উঠোন থেকে একটি বাইক চুরি হয়ে যায়। ইন্দাস থানায় ওই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন বাইকের মালিক। সেই অনুযায়ী শুরু হয় তদন্ত। এর পর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ এবং স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে তদন্তকারীরা হানা দিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানা এলাকায়। সেখান থেকে সজল মণ্ডল নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করার পাশাপাশ তার কাছে থাকা বেশ কয়েকটি চোরাই বাইক উদ্ধার করে পুলিশ।
সজলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার পর ওই চুরি চক্রের সঙ্গে যুক্ত আর এক জনের সন্ধান পায় পুলিশ। তাঁর নাম বিষ্ণু মণ্ডল। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানা এলাকা থেকে বিষ্ণুকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কাছ থেকেও পুলিশ বেশ কয়েকটি চুরি যাওয়া বাইক উদ্ধার করে। বিষ্ণুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রবিবার রাতে খণ্ডঘোষ থেকেই ধরা হয় সোমনাথ বসু নামে আরও এক জনকে। তাঁর কাছেও মেলে চোরাই বাইক!
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস বলেন, ‘‘বাইক চুরির চক্রকে ধরতে পুলিশ মোট তিন বার অভিযান চালিয়েছে। তিনটি অভিযানে তিন জনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি তাঁদের কাছে থাকা ১৪টি চোরাই বাইক উদ্ধার করা হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘এই চক্রে বিষ্ণুর কাজ ছিল বাইকের চাবি ভেঙে চুরিতে সহায়তা করা। সোমনাথের কাজ ছিল কলকাতার মল্লিকবাজার এলাকা থেকে ভুয়ো নম্বরপ্লেট তৈরি করে এনে তা চোরাই বাইকগুলিতে বসানো। আর এই গোটা চক্রের মূল পাণ্ডা হিসাবে কাজ করতেন সজল মণ্ডল। ওই চক্রে আরও কে বা কারা যুক্ত রয়েছেন, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। আশা করছি, এই চক্রের সঙ্গে যুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে পারব আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy