Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Rachna Banerjee

‘হুগলির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চরম খারাপ! আলোচনায় বসব দিদির সঙ্গে’, প্রসূতির মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য রচনার

সম্প্রতি হুগলির জেলা হাসপাতালে এক দিনে সিজ়ার হওয়ায় পরে পাঁচ প্রসূতির অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে। চার জনকেই ‘রেফার’ করা হয় কলকাতার হাসপাতালে। আরজি কর হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়।

Rachna Banerjee

হুগলিতে রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৪ ১৫:৪৬
Share: Save:

হুগলি জেলার বিভিন্ন জায়গা তো বটেই, রাজ্যের অনেক সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা ঠিক করা প্রয়োজন। সম্প্রতি হুগলির এক প্রসূতিমৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হুগলির জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ-ও জানালেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

সম্প্রতি হুগলির চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে এক দিনে সিজ়ার হওয়ায় পরে পাঁচ প্রসূতির অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে। চার জনকেই ‘রেফার’ করা হয় কলকাতার হাসপাতালে। আরজি কর হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় জেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধীরা। স্বাস্থ্য ভবন থেকে বিশেষজ্ঞ দল এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এর মধ্যে তাঁর লোকসভা এলাকায় বিভিন্ন নাগরিক পরিষেবা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন হুগলির সাংসদ রচনা। জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সেখানে জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাংসদ বলেন, ‘‘কিছুই যে হয়নি, এত দিন আমার কাছে সেটা ‘ক্লিয়ার’ (পরিষ্কার) ছিল না। আমি এমন একটা জায়গায় এসে পড়েছি, যেন মনে হচ্ছে পৃথিবী জয় করতে হবে!’’ পর ক্ষণেই তাঁর সংযোজন, ‘‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সাংঘাতিক খারাপ অবস্থায় রয়েছে। চরম খারাপ অবস্থা। আমি খুব তাড়াতাড়ি (হুগলির) সব হাসপাতালে ‘ভিজ়িট’ (পরিদর্শন) করব। এর আগে আমি ধনিয়াখালি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। প্রত্যেকটা বড় হাসপাতালে আমি গিয়ে দেখব, সেখানে কী অবস্থা, কী হচ্ছে না, কেন হচ্ছে না...। আমি সব ব্যবস্থা করব।’’ রচনা জানান, এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন।

অন্য দিকে, হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে রচনা বলেন, ‘‘পুনর্বাসন দিয়ে নিশ্চয়ই হকার উচ্ছেদ হবে। হুট করে হকার উচ্ছেদ করা হবে না। এটা তাঁদের রুজিরুটি। আমার মনে হয়, চুঁচুড়ার বিধায়কের উচিত দিদির সঙ্গে কথা বলা।’’ সাংসদের ব্যাখ্যা, মুখ্যমন্ত্রী বলেননি যে, হকার উচ্ছেদ করতে হবে। তিনি সুষ্ঠু ভাবে নিয়ম মেনে হকার বসানোর কথা বলেছেন। রচনার কথায়, ‘‘রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলবে। ফুটপাত দিয়ে মানুষ হাঁটবে। যাঁরা ফুটপাতে দোকান করেছেন, তাঁদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হবে। সেটা শুধু কলকাতায় নয়, রাজ্যের জন্য হবে।’’

হুগলির সাংসদ জানিয়েছেন, তিনি একগুচ্ছ কাজ নিয়ে আলোচনা করছেন। হুগলির জন্য কোন কোন বিষয় সংসদে তোলা যায়, তা নিয়ে সোমবার আলোচনা করেছেন। সংসদে বলাগড়ের ভাঙন প্রসঙ্গ তুলে ধরবেন। চুঁচুড়া শহরে ইন্ডোর স্টেডিয়াম আছে। সেখানে সোলার প্যানেল বসানো হবে। স্টেডিয়ামটি যাতে দ্রুত খোলা যায়, সেই ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE