Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
West Bengal Panchayat Election 2023

ভোটের পরেও শুধু পুলিশে আস্থা রাখল না আদালত, রাজীবে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল, প্রচারের শেষ দিনে বাংলা

৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। ওই নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। তাতেও কি হিংসায় লাগাম পরানো যাবে? থাকছে এমনই একাধিক প্রশ্ন।

file image

(বাঁ দিক থেকে) রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। পিছনে কলকাতা হাই কোর্ট। — ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৩ ২২:০৭
Share: Save:

কোথাও বাড়ি থেকে বেরোনোর পথে বিরোধী প্রার্থীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, কোথাও বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু, কোথাও আবার নির্দল প্রার্থীর স্বামীর অস্বাভাবিক মৃত্যু— পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারের শেষ দিনেও নির্বাচন সংক্রান্ত হিংসার ঘটনা অব্যাহত রইল। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। পঞ্চায়েত ভোটের ফলঘোষণার পর আরও ১০ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে রাজ্যে। নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় যাতে লাগাম টানা যায়। একই সঙ্গে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায় সাধারণ মানুষ এবং বিশেষ করে জয়ী প্রার্থীদের।

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সামগ্রিক হিংসার আবহে বৃহস্পতিবার আবারও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজীবকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আপনাকে আমি নিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু আপনি রাজ্যবাসীকে হতাশ করেছেন। দায়িত্ব পালনে আপনি ব্যর্থ। এখনও সময় আছে, সঠিক পদক্ষেপ করুন। রাজধর্ম পালন করুন।’’ রাজ্যপালকে পাল্টা আক্রমণ করেছে শাসক তৃণমূলও। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ত্রাস পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার সকালে মুর্শিদাবাদ যাওয়ার কথা রাজ্যপালের।

সব মিলিয়ে, পঞ্চায়েত ভোটের ৩৬ ঘণ্টা আগেও রাজ্যে তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপড়েন। যার সর্বশেষ নিদর্শন নন্দীগ্রাম। ভূমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘরে আচমকাই মুখোমুখি তৃণমূলের কুণাল ঘোষ এবং বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে কুণালের উপস্থিতিতে তৃণমূলের একটি জনসভা চলাকালীন এলাকায় পৌঁছয় শুভেন্দুর কনভয়। তাঁকে দেখেই তৃণমূলকর্মীরা ‘চোর-চোর’ স্লোগান তোলেন। মেজাজ হারিয়ে গাড়ির জানালা থেকে অর্ধেক শরীর বার করে শুভেন্দুও পাল্টা ‘হুঁশিয়ারি’ দেন তৃণমূল কর্মীদের।

পাশাপাশি, পঞ্চায়েত ভোটে ‘ডিউটি’ করতে যাওয়া সরকারি কর্মচারীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে চালু হচ্ছে হেল্পডেস্ক। আন্দোলনরত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে একটি ইমেল ঠিকানা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ইমেল করে ভোটকর্মীরা জানাতে পারবেন নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ। হেল্পডেস্কটি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখেই কাজ করবে বলে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ জানিয়েছে।

অন্য দিকে, নির্দল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন কুলপির কংগ্রেস নেতা আলফাজ় হালদার। বৃহস্পতিবার কলকাতার নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। রাজ্যপাল নিহত ওই কংগ্রেস নেতার বাড়িতে ফোন করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আলফাজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

বাহিনী থাকবে ফলের পরেও

বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ, পঞ্চায়েত ভোটের ফলঘোষণার পর আরও ১০ দিন রাজ্যেই মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুভেন্দুর আইনজীবী আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন, ভোটের ফলপ্রকাশের পর অন্তত দু’সপ্তাহ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেওয়া হোক। আদালত দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর নির্দেশ দিয়েছে, ভোটের ফলঘোষণার পর আরও ১০ দিন বাহিনী রাখতে হবে। আদালত জানিয়ে দেয়, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থেই বাহিনী রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।

রাজীবে অসন্তোষ রাজ্যপালের

পঞ্চায়েত ভোটের আবহে রাজ্যে হিংসার বিরাম নেই। এই প্রেক্ষিতে রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচনের বিবাদ পৌঁছে গেল সম্পূর্ণ অন্য স্তরে। সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল তুলোধোনা করলেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে। দাবি করলেন, হিংসার যে রক্ত কমিশনারের হাতে লেগে রয়েছে, পবিত্র গঙ্গার জল দিয়েও সেই ময়লা ধোয়া যাবে না। পাশাপাশি রাজ্যপাল বলেন, ‘‘আগুন নিয়ে খেলা হচ্ছে। রক্ত নিয়ে খেলা হচ্ছে। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে। মানুষের অসহায়তা দেখেছি। চোখের জল দেখেছি। পিতৃহারা শিশুর কান্না দেখেছি। এই রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ হওয়া উচিত।’’ এর পরেই রাজ্যপালের মুখে উঠে আসে শেক্সপিয়রের ম্যাকবেথের প্রসঙ্গ। রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘সঠিক পদক্ষেপ করতে যদি ব্যর্থ হন, তা হলে আরবের সমস্ত সুগন্ধীও আপনার হাতকে দুর্গন্ধমুক্ত করতে পারবে না। পবিত্র গঙ্গার জলেও আপনার হাতে লেগে থাকা রক্ত ধোয়া যাবে না।’’ সাংবাদিক বৈঠক করে কমিশনারকে রাজ্যপালের বেনজির আক্রমণের পাল্টা এসেছে শাসকদলের তরফে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা অন্যতম প্রধান মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্যপালের নামে আজ সিভি আনন্দ বোস যে কাজটি করলেন, তা বিজেপির এজেন্টের কাজ। পঞ্চায়েত ভোটপ্রচারের শেষ দিনে বিজেপির দালালি করে বিরোধীদের হয়ে প্রচার করে তিনি প্রমাণ করে দিলেন যে, তিনি রাজনীতিই করছেন।’’ কুণাল আরও বলেন, ‘‘রাজ্যপাল যদি মনেই করেন, কমিশনার ভুল করেছেন, তা হলে রাষ্ট্রপতিকে রিপোর্ট দেবেন। অথচ সাংবিধানিক পদে বসে রাজনীতি করলেন। এটা হতে পারে না। তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত কমিশনের।’’ রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে কুণালের সংযোজন, ‘‘ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। ১১ জুলাইয়ের পর বাংলার মাটিতে আর আপনার কোনও জায়গা নেই। মানুষ যে রায় দেবে, তার পর আর আপনার মুখ থাকবে না।’’

সুরক্ষার জন্য হেল্পডেস্ক

পঞ্চায়েত ভোট করাতে জেলায় জেলায় যাবেন ভোটকর্মীরা। এ বার তাঁদের নিরাপত্তার জন্য হেল্পডেস্ক চালু করল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। বৃহস্পতিবার মঞ্চের তরফে একটি ইমেল আইডি প্রকাশ করা হয়েছে। রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে ভোট পরিচালনা করতে গিয়ে ভোটকর্মীরা সমস্যার সম্মুখীন হলে, সে কথা তাঁরা সরাসরি জানাতে পারবেন মঞ্চের নেতৃত্বকে। সংশ্লিষ্ট ভোটকর্মীদের সাহায্য করা হবে। ভোটের আগের দিন শুক্রবার থেকে এই হেল্পডেস্কটি চালু হবে। শনিবার ভোটের দিন দিনভর চালু থাকবে পরিষেবা। আবার ১১ জুলাই ভোট গণনার দিন হেল্পডেস্কটি চালু করা হবে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখেই কাজ করবে বলে জানিয়েছেন নেতারা।

মুখোমুখি শুভেন্দু-কুণাল

নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত ভোটের শেষলগ্নের প্রচারে তুমুল উত্তেজনা। নন্দীগ্রাম বাজার মোড়ে তখন চলছিল তৃণমূলের জনসভা। হাজির ছিলেন কুণাল ঘোষ। হঠাৎই কনভয় নিয়ে সেখানে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে দেখেই তৃণমূলকর্মীরা ‘চোর-চোর’ স্লোগান তোলেন। তার পরেই স্লোগান বদলে যায়। আওয়াজ উঠতে থাকে ‘চোর চোর চোরটা, শিশির বাবুর ছেলেটা’। এমন স্লোগানে দৃশ্যত ‘বিরক্ত’ শুভেন্দু মেজাজ হারান। গাড়ির জানালা দিয়ে শরীরের অর্ধেক বার করে কুণালদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিতে থাকেন। কিন্তু শুভেন্দু কী বলছেন, তা তৃণমূলের ‘চোর’ স্লোগানের জেরে আর শোনা যায়নি। তবে কুণালের মুখে তখন স্মিত হাসি।

সিপিএম প্রার্থীকে ‘কোপ’

বৃহস্পতিবার সকালে সিপিএম প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ বার ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের সাদিকপুর। আক্রান্ত বদর শেখ রঘুনাথগঞ্জের মির্জাপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সমিতি আসনে সিপিএম প্রার্থী। বদর ছাড়াও তাঁর ছেলে মহবুল শেখ এবং তাঁর জামাই ফৈজুদ্দিন শেখের উপরেও হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জেলা সিপিএম সূত্রে খবর, আহত তিন জনকে ভর্তি করানো হয়েছে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। সিপিএমের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে বদরের বাড়ির কাছে তাঁর উপর হামলা করে তৃণমূল। তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। ছেলেকে অপহরণ করা হয় বলেও অভিযোগ। যদিও, তৃণমূলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সহানুভূতি কুড়োতে সিপিএম নাটক করছে বলে অভিযোগ জোড়াফুল শিবিরের। বিষয়টি নিয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার ভিজি সতীশ বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু

পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক দু’দিন আগে বোমা বাঁধতে গিয়ে মুর্শিদাবাদে মৃত্যু হল আরও এক জনের। বৃহস্পতিবার বেলডাঙার ভাবতা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেশপুর এলাকার মাঠে একটি নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম কামাল শেখ। মৃতের ভাই রিপন শেখ বলেন, ‘‘গত কাল রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। দু’জন লোক বাড়িতে থেকে ওকে ডেকে নিয়ে যায়। আমরা তাঁদের চিনি না। লোভে পড়ে বোমা বাঁধতে এসে মৃত্যু হল।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে কৌটো বোমার টুকরো পাওয়া গিয়েছে। বোমা তৈরির মশলাও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ফেটে যাওয়া বোমার কিছু টুকরোও উদ্ধার হয়েছে। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে, বোমা তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। দেহের ময়নাতদন্তের পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’’

আবার খুন বীরভূমে

আবার খুন! এ বার নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল বীরভূমে। নিহত দিলীপ মাহারা বিজেপি কর্মী বলে দাবি তাঁর স্ত্রীর। মহম্মদবাজারের হিংলো অঞ্চলের সেরেন্ডা গ্রামে ওই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। স্বামীকে তৃণমূলের লোকেরাই খুন করেছেন বলে অভিযোগ স্ত্রী ছবির। বীরভূমে তৃণমূলের যুগ্ম আহ্বায়ক কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘বিজেপি কর্মীর স্ত্রী নির্দল প্রার্থী। তৃণমূল মারামারির রাজনীতি করে না। করবেও না। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। আমাদের কোনও কর্মী যুক্ত নয়।’’ জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নির্দল প্রার্থীর স্বামী উনি। ফায়দা তোলার জন্য রাজনীতি করছে বিজেপি। তদন্ত করে দেখা হোক।’’ দিলীপকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ। দেহে রক্তের দাগ রয়েছে। শ্বাসরোধ করা হয়েছে বলেও সন্দেহ পুলিশের। ঘটনাস্থলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা। বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি কর্মী এবং স্থানীয়রাও। প্রায় আট ঘণ্টা পর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, নিহত দিলীপের স্ত্রী ছবি নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়ছেন। প্রথমে তিনি বিজেপি প্রার্থী হিসাবেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। কিন্তু বিজেপি পরে তাঁকে টিকিট দেয়নি বলে দাবি। তাই নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়ছেন তিনি।

প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত, মৃত্যু

প্রচারে বেরিয়ে মঙ্গলবার গুরুতর জখম হয়েছিলেন কুলপির কংগ্রেস নেতা আলফাজ় হালদার। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগের আঙুল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির গাজিপুর অঞ্চলে ঘটে হামলার ঘটনা। বৃহস্পতিবার সকালে পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এ নিয়ে মুখ খোলেননি। বৃহস্পতিবার বিকেলের পর রাজ্যপাল ফোন করেছিলেন আলফাজ়ের বাড়িতে। ফোনে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন মৃতের পরিবারের লোকেরা।

দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে এক যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। তৃণমূলের দাবি, মৃত যুবক তাদের সমর্থক ছিলেন। তাকে খুন করেছে বিজেপি। মৃতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তা থেকেই খুনের সন্দেহ। জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকারের অভিযোগ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এলাকায় অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছেন। এই জেলারই বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুকান্ত তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি সমর্থকদের ফাঁসাতে তৃণমূল এ সব অভিযোগ করছে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy