(বাঁ দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘৫ লাখ টাকার নেতা’ বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার এগরায় শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের তরফে তাঁকে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ না করে তৃণমূল ছেড়ে দিয়েছিলেন। এর পর বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অভিষেক উদ্দেশে ওই কটাক্ষ করেন।
শুভেন্দুর বুধবারের দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকেরা অভিষেকের কাছে তাঁর বক্তব্য জানতে চান। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তখন বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীর রেট মাত্র ৫ লাখ। ওঁকে কাগজে মুড়ে পাঁচ লাখ টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। টিভির পর্দায় এসেছিল সেই ছবি। যিনি মাত্র ৫ লাখে বিক্রি হয়ে যান, তাঁকে কেউ উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ অফার করতে পারে? আপনাদের কি মনে হয়, তার পর ওঁর মতো মানুষকে এমন প্রস্তাব দেওয়া যায়?’’ এর পর তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া ওঁর আর কি যোগ্যতা আছে? অজিত পওয়ারের রেট তবু ভাল। হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ওঁর হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রেখেছে বলে শুনেছি। কিন্তু এর রেট মাত্র ৫ লাখ। শুভেন্দু ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হন, তাঁর কথার প্রতিক্রিয়া দেব না। সারদা থেকে নারদ, বাংলার যত কেলেঙ্কারি, সবেতেই যুক্ত শুভেন্দু।’’
প্রসঙ্গত, বুধবার এগরা বিজেপির সভায় শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর তাঁকে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু সেই প্রস্তাব তিনি মেনে নেননি। সেই প্রস্তাব উপেক্ষা করে তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, ‘‘উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অফার দিয়েছিল, তা-ও ছেড়ে এসেছি। তৃণমূল আমার কোনও পদ কাড়েনি। মন্ত্রিত্ব, চেয়ারম্যানশিপ সব ছিল। ছেড়ে এসেছি। আর পারছিলাম না, তাই ছেড়ে এসেছি।’’ বিরোধী দলনেতার ওই দাবি খারিজ করে তাঁকে বৃহস্পতিবার পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন অভিষেক।
অভিষেকের মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সজল ঘোষ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘যে বা যাঁরা শুভেন্দু অধিকারীকে চোর বলছেন, তাঁরা তো বাংলায় বাটপাড় বলে পরিচিত। যে নারদ স্টিং অপারেশনের কথা বলা হচ্ছে, তা কার নেতৃত্বে, কার ষড়যন্ত্রে, কোথা থেকে কে করিয়েছিল, তা ম্যাথু স্যামুয়েল বলে দিয়েছেন।’’ তাঁর আরও আক্রমণ, ‘‘যাঁকে দেখলেই মানুষ চোর চোর বলছেন, তিনি বোধহয় শুভেন্দু অধিকারীর কাছে নন্দীগ্রামে তাঁর পিসির হারের কথা ভুলতে পারছেন না। তাই হয়তো মানসিক ভাবে অসুস্থতা বোধ করেই ভুলভাল বকছেন। তাঁর এক্ষুনি ডাক্তার দেখানো উচিত। তিনি তো আবার ভারতীয় ডাক্তার দেখাতে চান না। এ বার হয়তো অসুস্থতা নিয়ে বাইরের কোনও দেশে গিয়ে চিকিৎসা করাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy