গয়নার চাহিদা বাড়াতে মাসিক কিস্তিতে দাম মেটানো এবং তার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করার দাবি তুলেছিল স্বর্ণ শিল্প মহল। কিন্তু শনিবারের বাজেটে তা নিয়ে চুপ থাকলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ফলে গয়না ব্যবসায়ীরা কিছুটা হতাশ বলে জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর সমর দে। তবে প্ল্যাটিনামের গয়না তৈরির কিছু উপাদানে আমদানি শুল্ক কমায় নতুন আশা তৈরি হয়েছে তাঁদের মনে।
সোনা, রুপো ও প্ল্যাটিনাম গয়না আমদানিতে ২৫% শুল্ক বসে। তবে সোনা-রুপোর গয়না তৈরির উপাদান আমদানিতে তা ৫%। প্ল্যাটিনামের উপাদানে ২৫%। সেই হার ৫ শতাংশে নামানো হয়েছে। এ ছাড়া গবেষণাগারে হিরে তৈরি করতে যে ‘সিড’ আমদানি করতে হয়, তার প্রক্রিয়া খুবই জটিল ছিল। তা-ও সরল করা হয়েছে।
জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর সব্যসাচী রায় বলেন, ‘‘ওই দুই পদক্ষেপের পাশাপাশি সোনার আমদানি শুল্ক বদল না হওয়ায় দেশে ওই সব ধাতুর গয়না তৈরি শিল্পের প্রসার হবে। বাড়বে কাজ।’’ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য চুক্তির সুবাদে সেখান থেকে সোনা ও রুপো আমদানিতে ৫% শুল্ক বসে। প্ল্যাটিনামে শুল্কই লাগে না। এর সুযোগে প্ল্যাটিনামের সঙ্গে সোনা ও রুপো মিশিয়ে আমদানি করে শুল্ক ফাঁকি দিতেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। তা বন্ধ করতে শুল্ক বিধি চালু হয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)