Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪

‘ভিয়েতনামে গেলে ‘ক্যাম অন’ বলেই ধন্যবাদটা জানাই’

বিস্তর বই লিখেছেন তিনি। গদ্য এবং পদ্য। বাংলা, ইংরেজি ছাড়াও কবিতা লিখেছেন উর্দু, সাঁওতালি ও কুড়মালিতে। এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দেশি ও বিদেশি আরও কত ভাষা জানেন, বুধবার বিধানসভায় তার প্রমাণ মিলল। যা শুনে শাসক ও বিরোধীরা অবাক!

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৮ ০৪:১৬
Share: Save:

বিস্তর বই লিখেছেন তিনি। গদ্য এবং পদ্য। বাংলা, ইংরেজি ছাড়াও কবিতা লিখেছেন উর্দু, সাঁওতালি ও কুড়মালিতে। এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দেশি ও বিদেশি আরও কত ভাষা জানেন, বুধবার বিধানসভায় তার প্রমাণ মিলল। যা শুনে শাসক ও বিরোধীরা অবাক!

বিধানসভায় এ দিন সরকারি ভাষা সংক্রান্ত একটি সংশোধনী বিলের আলোচনায় যোগ দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘যত ভাষা জানব, তত ভাষার মাধুর্য বাড়বে। আমরা মরাঠি, ওড়িয়া, গুজরাতি, অসমিয়া সব ভাষাই বুঝতে পারি। অল্প অল্প বলতেও পারি।’’ কেমন তিনি একের পর এক ভাষায় অনর্গল, তার দৃষ্টান্ত দিতে নাগামিজ ভাষায় একটা গোটা বাক্য বলে ফেলেন। তারপরই বলতে থাকেন, গুজরাতিতে কেমছো মানে কেমন আছ? ভালছো মানে ভাল আছ। ওড়িয়ায় কেমন আছন্তি।’’ দক্ষিণ ভারতের ভাষা কিছু কিছু বুঝতে পারলেও তা খুব ভাল করে বলতে যে তিনি পারেন না, তা স্পষ্টই জানান বিধানসভায়। তামিলে ‘ভানক্কম’ অর্থাৎ নমস্কারও শুনিয়ে দেন বিধানসভার সকলকে।

তবে শুধু দেশীয় ভাষাই নয়, বিদেশি ভাষার চর্চাও যে তিনি করেন, তা-ও বোঝাতে তিনি বলেন, ‘‘রাশিয়ান ভাষায় স্প্যাশিবো অর্থাৎ ধন্যবাদ এবং ভিয়েতনামে গেলে ‘ক্যাম অন’ বলেই ধন্যবাদটা জানাই।’’

কামতাপুরি, রাজবংশী এবং কুড়মালি ভাষাকে রাজ্যের সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এ দিন বিধানসভায় পাশ হয় ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ (সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৮’। তখনই বিভিন্ন ভাষার উপর মমতার ‘দখল’ বেরিয়ে আসে। ওই বিলে কামতাপুরি এবং রাজবংশীকে আলাদা ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় আপত্তি জানান বিরোধীরা। তার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার ভাষাকে ভালবাসলে অন্যের ভাষাকে অসম্মান করাটা দৃষ্টিকটূ।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE