প্রতীকী চিত্র
বিশেষ সংশোধনাগারের সুপারের মৃত্যুর পরেও সব আধিকারিক ও বন্দির করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়নি। উদ্বিগ্ন তাঁদের পরিজনেরা।
রবিবার ঝাড়গ্রাম করোনা হাসপাতালে মৃত্যু হয় জেলার বিশেষ সংশোধনাগারের সুপার গৌরীশঙ্কর বণিকের। কারা দফতর সূত্রে খবর, উনি করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় গত ২ অক্টোবর কারা বিভাগ থেকে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে লিখিতভাবে অনুরোধ করা হয়েছিল, যাতে সংশোধনাগারের বাকি আধিকারিক, কর্মী ও বন্দিদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু তা হয়নি।
ঝাড়গ্রাম বিশেষ সংশোধনাগারে মূলত বিচারাধীন বন্দিরা থাকেন। এই মূহূর্তে সংশোধনাগারে রয়েছেন ১২০ জন বন্দি। মহিলা বন্দি ছ’জন। এ ছাড়া, এখানে একজন জেলর, দু’জন ডেপুটি জেলর ও ২২ জন জেল কর্মী আছেন। সুপারের সরাসরি সংস্পর্শে থাকায় সোমবার দু’জন জেল কর্মীর র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানো হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না বাকিরা।
জানা গিয়েছে্, এখনও মৃতের স্ত্রী ও মেয়েরও করোনা পরীক্ষা করানো হয়নি। রাজ্য কারা বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কর্মীদের পাশাপাশি, বন্দিদের করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য ঝাড়গ্রাম সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’’ জেল-বন্দি অভিযুক্তদের আইনজীবী কৌশিক সিংহ, তপন সিংহরা বলছেন, ‘‘অবিলম্বে বন্দিদের করোনা পরীক্ষা করানো উচিত। ওঁদের পরিজনেরা উদ্বেগে রয়েছেন।’’ এক বন্দির স্ত্রী অর্চনা ঘোষ বলেন, ‘‘স্বামীর সঙ্গে সোমবার দেখা করতে গিয়েছিলাম। উনি খুবই ভয়ে আছেন।’’
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্য এতজনের একসঙ্গে করোনা পরীক্ষা করাতে সমস্যা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘শীঘ্রই জেলের সকলের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা হবে।’’
এ দিকে সোমবারও ঝাড়গ্রাম করোনা হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত কৃপাসিন্ধু বেজ (৬০) লালগড়ের বেলাটিকরির বাসিন্দা। রবিবার বিকেলে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy