সায়ন্তন বসু।
রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারের সঙ্গেই শুরু হয়ে গেল কু-কথার স্রোত। সেই সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে হিংসাত্মক আক্রমণও ছড়াতে শুরু করল মুখে মুখে।
দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসে তৃণমূল ও সিপিএমকে নেকড়ের দল বলে মন্তব্য করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বিপ্লব দেব। আর বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু প্রতিপক্ষকে ঠেকাতে সশস্ত্র হানার পরামর্শ দিলেন দলের কর্মীদের।
মঙ্গলবার দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের প্রচারে বিরাটিতে এক সভায় বিপ্লব বলেন, ‘‘ কাদের ভয় পাচ্ছেন আপনারা? তৃণমূলের সিন্ডিকেট আর সিপিএমের ক্যাডারদের?’’ তৃণমূল-সিপিএমকে পরাস্ত করার আহ্বান জানিয়ে এর পরেই বিপ্লবের কটাক্ষ, ‘‘ওদের দলে কোনও শের নেই। ওরা ভীতু নেকড়ের দল। আসল শের ( বাঘ) দিল্লিতে বসে আছেন— মোদিজি।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জবাবে সুর চড়িয়েছে তৃণমূলও। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বিজেপি নেতৃত্বকে ‘উন্মাদ’ বলে পাল্টা আক্রমণ করেছেন। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘বিজেপির নেতারা যে সব কথা বলছেন, তা শুনে ওঁদের মানসিক রোগী বলে মনে হচ্ছে। ওঁদের চিকিৎসা প্রয়োজন। না হলে মোদী থেকে বিপ্লব, সকলকেই পাগলাগারদে যেতে হবে। আর আমরা নেকড়ে না সিংহ তা ২৩ মে ফল বেরোলেই বোঝা যাবে।’’
বসিরহাটে প্রচারের প্রথম দিনেই আক্রমণাত্মক ছিলেন সায়ন্তন। প্রয়োজনে মহিলাদের দা-বঁটি ধারাল করে রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যারা হুমকি দিতে আসবে সেই সব গুন্ডা-মস্তানরা একটা মারলে আপনারা দশটা মারবেন। পারলে দু’চারটেকে সাবাড় করে দেবেন।’’ ভোট-যুদ্ধে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে নিজের মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়ে সায়ন্তন বলেন, ‘‘সি আর পি এফকে বলা হয়েছে বুথ লুঠ করতে আসলে পা নয়, বুক লক্ষ করে গুলি চালাতে।’’ সায়ন্তনের এই বক্তব্য সম্পর্কে তৃণমূল নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy