Advertisement
E-Paper

দুর্নীতি খুঁজতে কমিটি গঠন

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিকিৎসক দেবাশিস বসু ওই কমিটি সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। ওই কমিটিতে তিনি চেয়ারম্যান পদে রয়েছে।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:২২
Share
Save

প্রশ্নপত্র তো বটেই, উত্তরপত্রও ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ছিল। সঙ্গে আরও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ডাক্তারির বিভিন্ন স্তরের পরীক্ষাকে ঘিরে। আর জি কর কাণ্ডের জেরে চিকিৎসক সমাজের যে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে, তাতেও স্বাস্থ্য-শিক্ষায় পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রেক্ষিতে এ বার পরীক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করল স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়। আজ, মঙ্গলবার সেই কমিটি প্রথম বৈঠকে বসবে বলে খবর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিকিৎসক দেবাশিস বসু ওই কমিটি সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। ওই কমিটিতে তিনি চেয়ারম্যান পদে রয়েছে। পাশাপাশি, কলকাতা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস, এসএসকেএমের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেআইএস মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শান্তনু ত্রিপাঠী, বর্ধমান মেডিক্যালের ডিন অরুণিমা চৌধুরী এবং চিকিৎসক যোগীরাজ রায়কে সদস্য করা হয়েছে।

আর জি করের তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে যে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে, তাতেও উঠে এসেছে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ। সিনিয়র শিক্ষক-চিকিৎসকদের অনেকেরই অভিযোগ, পরীক্ষার কত ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র হাতে পাবেন পরীক্ষার্থী, সেই মতো রেট (প্রশ্নপত্র বিক্রির টাকার অঙ্ক) স্থির হত। সেই প্রশ্নের উত্তরপত্রও মোবাইলে পৌঁছে যেত। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঠিকঠাক ইনভিজিলেটর বা পরিদর্শক পাঠানোর বিষয়েও চূড়ান্ত উদাসীনতা লক্ষ্য করা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। ফলে গণটোকাটুকি থেকে মোবাইল ব্যবহার সবই অবাধে চলছিল। উত্তরপত্রে ‘বারকোড’ দেওয়া থাকত, যাতে সেটি কোন পরীক্ষার্থীর তা আগাম জানা যেত না। কিন্তু বছর কয়েক আগে থেকে তা-ও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে কার খাতা কে দেখছেন সেটি আগে থেকে জেনে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-চিকিৎসকের উপর চাপ তৈরি করার অভিযোগও রয়েছে।

জুনিয়র চিকিৎসক ফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতে কেউ ঘাড় ঘোরাতে না পারে তেমন ব্যবস্থা করা হবে। আর গণটোকাটুকি, ফেল করলেও পাশ করিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন, সেই সূত্র ধরেই হয়তো পরীক্ষা ব্যবস্থা কী ভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত, তা পর্যালোচনা করতে চাইছে সরকার।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Medical Colleges West Bengal University of Health Sciences Examinations Corruption

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}