সোনালি ঘোষ।
সন্ধ্যায় থানা থেকে ফোন পেয়ে অবাকই হয়েছিলেন কসবার সোনালি ঘোষ। কিছু না বুঝেই সেখানে যান তিনি। সেখানেই সোমবার যে ভাবে তাঁর জন্মদিন পালন করলেন থানার অফিসারেরা, তাতে অভিভূত পেশায় রিকশাচালক ওই মহিলা।
কসবায় রিকশা চালান বছর তিরিশের সোনালি। ছ’বছর আগে বাবার মৃত্যুর পরে সংসারের হাল ধরতে হয় তাঁকে। তিন বছর আগে বাবার পেশাকেই বেছে নেন সোনালি। তাঁর এই জীবন সংগ্রামকে সম্মান দিতেই সোমবার তাঁকে সংবর্ধনা দেন কসবা থানার ওসি দেবাশিস দত্ত। সোনালি বলছেন, ‘‘মহিলা রিকশাচালক হিসেবে পুরস্কার দেওয়া হয়। পরে জন্মদিনের কথা বলতেই বড়বাবু আমার হাতে উপহার তুলে দেন। আমি অভিভূত।’’
রিকশা চালানোকেই কেন পেশা করলেন? সোনালি বলছেন, ‘‘অন্য কাজে ভাল উপার্জন না হওয়ায় রিকশা চালানো শুরু করি।’’ টালির চালের বাড়িতে মা-ভাইকে নিয়ে বাস তাঁর। রিকশা চালিয়েই মাস তিনেক আগে ছোট বোনের বিয়ে দিয়েছেন। তবে নিজের বিয়ে নিয়ে এখনই ভাবতে রাজি নন। সাফ বলছেন, ‘‘অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। পরিবার ছাড়া অন্য কিছু এখন ভাবতেই পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy