আটকে: পদে পদে বাধা। তাই দমকলের ছোট ইঞ্জিনও ঢুকতে পারল না সরু গলিতে । সোমবার নারকেলডাঙার কসাই বস্তি লেনে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
শহরের ঘিঞ্জি গলিতে কোথাও আগুন লাগলে যাতে দমকল দ্রুত পৌঁছতে পারে, সে জন্য বছর আটেক আগে দফতরের তরফে বেশ কয়েকটি ছোট ইঞ্জিন কেনা হয়েছিল। কিন্তু দমকলের সেই প্রচেষ্টায় কার্যত জল ঢেলে দিচ্ছে বেআইনি দখলদারি। অবৈধ দোকান, দোকানের বর্ধিত অংশ এমনকী বেআইনি ভাবে গজিয়ে ওঠা ঝুপড়ির কারণে আগুনের উৎস পর্যন্ত পৌঁছতেই পারছে না ছোট ইঞ্জিন। রবিবার ঠিক তেমনটাই ঘটেছে নারকেলডাঙায়।
দমকল সূত্রের খবর, শহরে কোথাও আগুন লাগলে দু’টি অসুবিধার মুখে পড়েন কর্মীরা। প্রথমত যানজট, দ্বিতীয়ত শহরের অলিগলি। দমকলের এক কর্তা জানান, প্রথম সমস্যার ক্ষেত্রে ট্র্যাফিক পুলিশ যথাসাধ্য সাহায্য করে। কিন্তু দ্বিতীয় সমস্যার মোকাবিলাতেই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। কিন্তু সেটাও পুরো সফল হয়নি।
দমকলের এক কর্তা জানান, সাধারণত ইঞ্জিনগুলি হয় ২৩ ফুট লম্বা এবং ৮ ফুট চওড়া। কিন্তু গলিতে ঢোকার জন্য ২০০৯-১০ সালে ১৫টি ছোট ইঞ্জিন কেনা হয়। যার পোশাকি নাম ‘মিডল সাইজ ওয়াটার টেন্ডার’। সেগুলি ১৮ ফুট লম্বা , ৮ ফুট চওড়া।
রবিবার আগুন লেগেছিল নারকেলডাঙার ক্যানাল ওয়েস্ট রোডে, কসাই বস্তির একটি বহুতলে। ওই রাস্তার দু’দিকে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি এবং গজিয়ে ওঠা ঝুপড়ির কারণে রাস্তা এমনিই সরু। তার মধ্যে দিয়েই ছোট ইঞ্জিন নিয়ে কিছু দূর পৌঁছে গিয়েছিলেন দমকলকর্মীরা। কিন্তু কসাই লেনে ঢুকতে গিয়ে তাঁরা দেখেন, দোকান, ঘর এবং দোকানের বর্ধিত অংশ এসে পড়েছে রাস্তায়। ফলে ওই ইঞ্জিন থাকা সত্ত্বেও আর এগোতে পারেননি তাঁরা। বাধ্য হয়ে পাইপের সঙ্গে পাইপ জুড়ে জল ছেটানো শুরু হয়। কিন্তু তত ক্ষণে একনাগাড়ে জ্বলে গিয়েছে ১১টি ঘর।
দখলদারের সমস্যা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর, কংগ্রেসের প্রকাশ উপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘‘অবিলম্বে মেয়রের সঙ্গে কথা বলে ওখানকার ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়ার আর্জি জানানো হবে।’’ দমকলের ডিজি জগমোহন বলেন, ‘‘যে কোনও সমস্যা হোক, কাজ আমরা করে যাই। তবে সমস্যা না হলে কাজ দ্রুত করতে আরও সুবিধা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy