সামিরা পরভিন
ফুটপাথ থেকে উদ্ধার হল এক তরুণীর মৃতদেহ। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার লিন্টন স্ট্রিট ডাকঘরের কাছে। মৃতার নাম সামিরা পরভিন (২০)। বাড়ি বেনিয়াপুকুর থানার পাশেই গোরাচাঁদ রোড এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে পুলিশ জেনেছে, এ দিন সকালে ডাকঘরের পাশে একটি গুমটি-দোকানের তলায় এক তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলটি সামিরার বাড়ির কাছেই হওয়ায় তাঁকে চিনতে পারেন পড়শিরা। বেশ কয়েক বার ডাকার পরেও সামিরার সাড়া না পেয়ে খবর দেওয়া হয় বেনিয়াপুকুর থানায়। এর পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই তরুণীকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা সামিরাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতার শরীরে প্রাথমিক ভাবে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে দেহের ময়না-তদন্ত হওয়ার পরেই মৃত্যুর আসল কারণ বোঝা যাবে বলে জানান তদন্তকারী অফিসারেরা।
মৃতের মামা মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, প্রায় বারো বছর আগে সামিরার মা মারা যান। তার পরে সামিরার বাবা দুই মেয়েকে রেখে চলে যান উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে আদি বাড়িতে। সামিরা ও তাঁর বোন থেকে যান সেলিমের কাছে।
সেলিমের বক্তব্য, এর পর থেকেই সামিরা মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে বেরিয়েও যেতেন। গত রবিবার বিকেলেও বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তার পরে আর বাড়ি ফেরেননি। বেনিয়াপুকুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয় পরিবারের তরফে। ‘‘বুধবার সকালে পুলিশের কাছ থেকে খবর পাই, সামিরার দেহ উদ্ধার হয়েছে,’’ বলেন সেলিম।
পুলিশকে সেলিম আরও জানিয়েছেন, কামালগাজির একটি নেশা-মুক্তি কেন্দ্রে বেশ কয়েক বার সামিরার চিকিৎসাও করানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, প্রায়ই রাতের দিকে রাস্তায় নেশার ঘোরে চিৎকার করতেন সামিরা। পরে পুলিশ তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দিত। তাঁর মেলামেশার জগৎ ভাল ছিল না বলেও দাবি করেছেন সেলিম। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে সামিরাকে।’’ তবে পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে এ বিষয়ে লিখিত কোনও অভিযোগ করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy