ফাইল চিত্র।
হাওড়া পুরসভায় প্রথম প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকেই দফতর বণ্টনের দাবি নিয়ে মতানৈক্য দেখা দিল বলে সূত্রের খবর। দশ সদস্যের প্রশাসকমণ্ডলীর অধিকাংশ সদস্য কাজে গতি আনতে কলকাতা পুরসভার মতো সদস্যদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ার দাবিতে যখন সরব হলেন, তখন নবনিযুক্ত চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী সরকারি নির্দেশ মেনে সব কাজ এক সঙ্গে করার উপরে জোর দিলেন। বুধবার, প্রথম বৈঠকেই প্রশাসকমণ্ডলীর এই বাগ্বিতণ্ডা ঘিরে গুঞ্জন ছড়াল পুরসভার অন্দরে।
ঠিক এক সপ্তাহ আগে, গত বুধবার চেয়ারপার্সন হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করেন সুজয়বাবু। এর কয়েক দিন আগেই পুরসভার চেয়ারপার্সনের পদ থেকে সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়কে সরিয়ে দিয়ে প্রশাসকমণ্ডলী ভেঙে দেওয়া হয়। সুজয়বাবুকে চেয়ারপার্সন করে গঠন করা হয় নতুন প্রশাসকমণ্ডলী। এ দিন প্রথম বৈঠকটি বসে পুরসভায় মেয়রের জন্য নির্দিষ্ট ঘরে। নতুন চেয়ারপার্সন ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসকমণ্ডলীর দুই ভাইস চেয়ারপার্সন সৈকত চৌধুরী এবং দেবাংশু দাস। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বর্তমান প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য মনজিত র্যাফেল, রিয়াজ় আহমেদ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, বাপি মান্না, অনুপ চক্রবর্তী এবং দিলীপ ঘোষ। ছিলেন পুর কমিশনার ধবল জৈন-সহ পুরসভার পদস্থ আধিকারিকেরা।
সূত্রের খবর, বৈঠকের শুরুতে সুজয়বাবু জানান, বর্তমানে পুরসভার প্রথম লক্ষ্য রাস্তাঘাট মেরামত এবং নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি করা। এর জন্য প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যেরা আগামী পাঁচ দিন পুরসভার বিভিন্ন বরোয় গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি এলাকা পরিদর্শন করে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা দেখবেন। তিনিও সকলের সঙ্গে রাস্তায় ঘুরে পরিদর্শন করবেন। সকলে মিলেই সব কাজ দেখাশোনা করা হবে। প্রশাসকমণ্ডলীর অধিকাংশ সদস্য তাঁর এই কথায় আপত্তি তোলেন বলে পুরসভা সূত্রের খবর। তাঁরা চেয়ারপার্সনকে জানান, দায়িত্ব ভাগ করে দিলে কাজের গতি আসবে। মুখ্যমন্ত্রী যা চাইছেন, সে ভাবেই দ্রুত কাজ এগোবে।জানা গিয়েছে, এর পরেই সদস্যেরা দাবি তোলেন, কলকাতা পুরসভায় যদি দফতর ভাগ করা যেতে পারে, তা হলে হাওড়া পুরসভার ক্ষেত্রে হবে না কেন? এ বিষয়ে তাঁরা চেয়ারপার্সনের নেতৃত্বে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সেই দাবি জানানোর প্রস্তাব দেন।
এ প্রসঙ্গে চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘এ দিন যে সব আলোচনা হয়েছে, তা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশেই হয়েছে। কয়েক জন সদস্য কলকাতা পুরসভার মতো দফতর ভাগ বা কাজের দায়িত্ব ভাগ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। বিষয়টি আলোচনা করে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy