Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Duarey Sarkar

Duarey Sarkar: সরকারি পরিষেবা পেতে হাওড়ায় বিধি উড়িয়ে ভিড়

পুলিশ জানায়, অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। ধৈর্য হারিয়ে লাইনে দাঁড়ানো মহিলারা বাঁশের ব্যারিকেড গলে এগোতে থাকেন।

অপেক্ষা: সাঁতরাগাছিতে সরকারি পরিষেবার জন্য ভোর থেকে লাইন। বুধবার।

অপেক্ষা: সাঁতরাগাছিতে সরকারি পরিষেবার জন্য ভোর থেকে লাইন। বুধবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২১ ০৭:২৮
Share: Save:

সরকারি পরিষেবা পেতে ফের হাজার হাজার মানুষের ভিড়ের মধ্যে করোনা-বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল। কেউ লাইন দিয়েছিলেন গভীর রাতে, কেউ ভোর থেকে। উদ্দেশ্য, দুয়ারে সরকার শিবিরের চত্বর থেকে ফর্ম তুলে নাম নথিভুক্ত করা। বুধবার দুপুরে হাওড়ার সাঁতারাগাছি কেদারনাথ ইনস্টিটিউশনে সেই কাজে গিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা আর হুড়োহুড়ির মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েক জন।

প্রতিদিন এই শিবিরে মাস্ক ছাড়া অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা। এ দিনও দেখা গিয়েছে, ভোর থেকে ওই স্কুলের সামনে মানুষের দীর্ঘ লাইন। বে‌লা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই লাইন দীর্ঘতর হয়েছে। যা এক দিকে শাস্ত্রী নরেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলি রোড এবং অন্য দিকে মহেন্দ্র ভট্টাচার্য রোডের প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এ দিকে অধিকাংশের মুখেই মাস্ক নেই। ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে।

পুলিশ জানায়, অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। ধৈর্য হারিয়ে লাইনে দাঁড়ানো মহিলারা বাঁশের ব্যারিকেড গলে এগোতে থাকেন। তখনই শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। লাইন ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে বচসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বীরেন দাস নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘ভিতরে এক বার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের শিবিরে, তো এক বার স্বাস্থ্যসাথীর শিবিরে ঘোরানো হচ্ছে। তাই এত বিশৃঙ্খলা হচ্ছে।’’ মৌসুমী চক্রবর্তী নামে এক মহিলা বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকার যে ভাবে হচ্ছে, তাতে করোনার আতঙ্ক বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টা দেখা দরকার প্রশাসনের।’’

হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তার দাবি, ‘‘সকাল থেকে সবই ঠিক ছিল। কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃত ভাবে লাইন ভেঙে যেতে গিয়ে সমস্যা তৈরি করেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Duarey Sarkar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE