সাঁকরাইলে বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের ‘নিদানে’ জোর বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র।
দিলীপ ঘোষের পর এ বার ভারতী ঘোষ। রাজ্য সরকারের নতুন কর্মসূচি ‘দিদির দূত’কে কটাক্ষ করতে গিয়ে বিতর্ক ছড়াল বিজেপি নেত্রীর কথায়। রবিবার হাওড়ার সভা থেকে ‘দিদির দূত’দের হাতা-খুন্তি দিয়ে মারধরের নিদান দিলেন ভারতী। এমনকি, তাঁদের জুতোপেটা করারও কথা বললেন তিনি। এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করল তৃণমূল। ঘাসফুল নেতৃত্বের কটাক্ষ, ‘‘এটাই বিজেপির সংস্কৃতি।’’
সোমবার হাওড়ার সাঁকরাইলে উপস্থিত হন ভারতী। বিডিও অফিসের সামনে একটি ‘বিক্ষোভ সভা’র পর অফিসে স্মারকলিপি জমা দেন ভারতীরা। সেখানে বিজেপি নেত্রীর মন্তব্য, ‘‘দিদির দূতেরা বাংলার ভূত। গ্রামে ঢুকলে তাদের হাতা-খুন্তি, ঝাঁটা দিয়ে মারুন। যদি তা না থাকে তাহলে পায়ের জুতো থাকলে সেই জুতো খুলে মারুন।’’ তাঁর সংযুক্তি, ‘‘আগে আপনাদের পাওনা সুদ সমেত ফেরত দিতে বলুন। ওরা গ্রামে ঢুকলে চোরদের মতো তাড়া করুন।’’
ভারতীর অভিযোগ, দুর্নীতির সঙ্গে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল নেতারা বালি, কয়লা এমনকি, গরিব মানুষের চাকরিও লুট করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। আর যাঁদের চাকরি পাওয়ার কথা, তাঁরা রাস্তায় বসে আছেন। তৃণমূল নেতারা এখন পুলিশ আর পাইলট নিয়ে ঘোরাফেরা করছেন। যদি ওদের সাহস থাকে তবে পুলিশ ছাড়া রাস্তায় বেরিয়ে দেখুক।’’
বিজেপি নেত্রীর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘আমরা যেখানে যাচ্ছি ফুল-মালা পাচ্ছি। জুতো জুটছে বিজেপির কপালে। মিথ্যা কথা বলে ভাঁওতাবাজি করছে বিজেপি। মানুষ যা বোঝার বুঝে গিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়নে সাধারণ মানুষ খুশি। মুখ্যমন্ত্রী মানুষের জন্য এত জীবনমুখী প্রকল্প এনেছেন, যা আগে কোনও সরকার করেনি।’’
এর আগে মমতার সরকারের এই নতুন কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি বিধায়ক লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি ‘দিদির দূত’দের বেঁধে রাখার নিদান দিয়েছিলেন। এর পর একই রকম মন্তব্য করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy