Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
বটানিক্যাল গার্ডেনে গাছ চুরির অভিযোগ
Botanical Garden

বটানিক্যাল থেকে শ্বেতচন্দন গাছ ‘পাচার’, অস্বীকার কর্তৃপক্ষের

বটালিক্যাল গার্ডেন সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রায় ১০০ বছরের পুরনো শ্বেতচন্দন গাছটি ছিল উদ্যানের এক নম্বর নার্সারির ‘জেসমিন’ সেকশনে। বর্তমানে বটানিক্যালে ১৪০০ প্রজাতির গাছ রয়েছে।

শিবপুর বটানিক্যাল গার্ডেন।

শিবপুর বটানিক্যাল গার্ডেন। ফাইল চিত্র।

দেবাশিস দাশ
হাওড়া শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৩৫
Share: Save:

শিবপুর বটানিক্যাল গার্ডেন থেকে গাছ চুরির অভিযোগ আগেও একাধিক বার উঠেছে। এ বার দুষ্প্রাপ্য শ্বেতচন্দন গাছ রাতের অন্ধকারে কেটে পাচারের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই উদ্যানের কর্মীদের মধ্যে। অভিযোগ, শুধু গাছটি কেটেই ফেলা হয়নি, ওখানে যে গাছটি ছিল, সেই চিহ্ন মুছে দিতে গাছের গোড়া থেকে তুলে রাতারাতি ইট-সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করা হয়েছে। কর্মীদের একাংশের দাবি, কর্তৃপক্ষ ওই জায়গা খুঁড়লেই ঘটনাটি প্রমাণ হবে। বটানিক্যাল গার্ডেনের প্রাতর্ভ্রমণকারীদের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। যদিও উদ্যান কর্তৃপক্ষের দাবি, এমন কিছু ঘটেনি।

বটালিক্যাল গার্ডেন সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রায় ১০০ বছরের পুরনো শ্বেতচন্দন গাছটি ছিল উদ্যানের এক নম্বর নার্সারির ‘জেসমিন’ সেকশনে। বর্তমানে বটানিক্যালে ১৪০০ প্রজাতির গাছ রয়েছে। বছর পাঁচেক আগে অরবিন্দ প্রামাণিক গার্ডেনের যুগ্ম-অধিকর্তা থাকাকালীন গাছ-শুমারি শুরু করেছিলেন। সেই কাজ অর্থাভাবে শেষ হয়নি। ওই সময়ে প্রতিটি গাছের গায়ে নম্বর লেখা হয়েছিল। কম্পিউটারেও নম্বরের প্রেক্ষিতে তথ্য রেখে দেওয়া হয়েছিল। যা থেকে জানা গিয়েছে, ওই শ্বেতচন্দন গাছটির নম্বর ১৯৭৯।

উদ্যানের এক অফিসারের দাবি, ‘‘গত সপ্তাহে কোনও এক রাতে গাছটি যন্ত্র দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। যেখানে গাছটি ছিল, তার কিছুটা দূরেই নিরাপত্তাকর্মীদের থাকার জায়গা। ওই রাতে ডিউটিতে থাকা কর্মীকে জিজ্ঞাসা করলেই সব জানা যাবে।’’

উদ্যানের কর্মীদের একাংশের দাবি, আমপানে পড়ে যাওয়া প্রচুর গাছ রাতের অন্ধকারে পাচার হয়েছে। জীবিত গাছও কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, গাছ পাচারের জন্যই গেট পাস তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে ঠিকাদারেরা অনায়াসে বাগান থেকে কাঠ পাচার করতে পারছেন।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পেশায় আইনজীবী এবং ওই উদ্যানে প্রাতর্ভ্রমণকারী স্মরজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘শ্বেতচন্দন গাছ কাটার ঘটনাটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বটানিক্যাল গার্ডেনের অধিকর্তাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকেও আমার চিঠিটি এফআইআর হিসাবে নিতে অনুরোধ করেছি। তদন্ত করে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছি।’’

হাওড়ার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বটানিক্যাল গার্ডেনের অধিকর্তা দেবেন্দ্র সিংহের দাবি, ‘‘এ সবই গুজব। এমন ঘটনা যদি ঘটে থাকে, তা হলে তদন্ত করে দেখা হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Botanical Garden tree Theft
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE