জিএম-কে শুভেচ্ছা।—নিজস্ব চিত্র।
কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে রিলিফ ট্রেন কী ভাবে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে, কী ভাবে কাজ করবে উদ্ধারকারী দল—সে সবই কর্মীদের হাতে কলমে শিখিয়ে গেলেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার রামকুমার গুপ্ত। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আসানসোল ডিভিশনের বেশ কয়েকটি স্টেশন, রেল ব্রিজ, হাসপাতাল ও কলোনি ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বললেন কর্মীদের সঙ্গে।
স্টেশন পরিদর্শনের পর রানিগঞ্জে তিনি বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে রেলের বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করা হবে। আমাদের আশা, এর ফলে রেল স্টেশনগুলিতে অসামাজিক কাজকর্ম কমবে।” রেল সূত্রে খবর, আসানসোল ডিভিশনে রেলের জমি দখল করে বেশ কিছু জনবসতি গড়ে উঠেছে। যে এলাকায় এই বেআইনি বসতিগুলি গড়ে উঠেছে সেখানে অসামাজিক কাজ তুলনায় বেশি। এই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ স্পেশাল ট্রেনে করে পানাগড় আসেন রামকুমারবাবু। সঙ্গে ছিলেন পূর্ব রেলের (আসানসোল ডিভিশন) জনসংযোগ আধিকারিক বিশ্বনাথ মুর্মূ। এ দিন তিনি প্রথমেই যান পানাগড় রেল কলোনিতে। সেখানে আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলেন। খতিয়ে দেখেন আবাসনের পরিকাঠামো। এর পর তিনি যান পাশের রেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিত্সক ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তার পর চলে যান রাজবাঁধ। সেখানে রাজবাঁধ ইস্ট কেবিলের সামনের রেল গেট ঘুরে দেখে চলে যান দুর্গাপুর স্টেশন। সেখানে এখন চলমান সিঁড়ি তৈরির কাজ চলছে। রামকুমারবাবু সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন। স্টেশনের বুকিং কাউন্টার, এনকোয়ারি কাউন্টার ও ফুড প্লাজার ভিতরে ঢুকে কর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। দুর্গাপুরেই মধ্যাহ্নভোজ সেরে অন্ডালের উদ্দেশ্য রওনা হন। পথে সিঙ্গারণ নদীর উপরের রেল ব্রিজে নেমে পড়েন তিনি। খতিয়ে দেখেন ব্রিজের পরিকাঠামো। তার পর বিকেল নাগাদ অন্ডাল স্টেশনে পৌঁছান তিনি। স্টেশন ঘুরে দেখে চলে যান অন্ডাল রেল হাসপাতালে। মাঝে স্টেশন চত্বরে নতুন করে সাজিয়ে তোলা রেলের চালক ও রক্ষীদের বিশ্রামাগার ও একটি ডিজেল শেডের উদ্বোধন করেন। রেলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় রামকুমারবাবু পরামর্শ দেন, “সমস্যা হলে আপনারা সঠিক জায়গায় অভিযোগ জানান।”
অন্ডালের রেল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পর ওই রেল কর্তা রানিগঞ্জ স্টেশনে যান। বুকিং কাউন্টার, ডিসপ্লে বোর্ড, যাত্রীদের বসার জায়গা, পানীয় জলের ব্যবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। কথা বলেন রেল কর্মীদের সঙ্গে। সব শেষে আসানসোল স্টেশনে যান রামকুমারবাবু। এখানে তিনি রেল কর্মীদের সামনে শিক্ষকের ভূমিকা নেন। দুর্ঘটনাস্থলে রিলিফ ট্রেন পাঠানো, মেডিক্যাল দল ও উদ্ধারকারী দলের ভূমিকার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। খতিয়ে দেখেন পরিকাঠামো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy