জেলা ভাগের পরে এখনই জেলা পরিষদ আলাদা করার পথে হাঁটবে না সরকার— এমন সিদ্ধান্তের আঁচ পেয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে বিরোধীরা। জেলা পরিষদের কর্মসূচির ক্ষেত্রে এর পরে আদৌ কতটা গুরুত্ব পাবে নতুন জেলা, কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্যেরা কী ভাবে কাজ চালাবেন, তাঁদের বর্ধমানেই যাতায়াত করে কাজ করতে হবে কি না, উঠেছে এমন নানা প্রশ্ন। এরই মধ্যে ধন্দ তৈরি হয়েছে আসানসোলে জেলা পরিষদ কার্যালয়ের খোলনলচে পাল্টানোর কাজ শুরু হওয়ায়। ৭ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা ঘোষণার সভা থেকেই এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত তা পরিষ্কার হয়ে যাবে, মনে করছেন শাসকদলের নেতারা।
আসানসোল ও দুর্গাপুরে মোট আটটি পঞ্চায়েত সমিতি ও ৭০টি পঞ্চায়েত রয়েছে। জেলা পরিষদের এক কর্তার দাবি, সামনের বছরেই পঞ্চায়েত ভোট। তাই এই মুহূর্তে জেলা পরিষদকে ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা নেই সরকারের। এই কয়েক মাস ব্লকগুলির উন্নয়নের কাজ অবিভক্ত বর্ধমান জেলা পরিষদই করবে। প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত আসানসোলে একটি পূর্ণাঙ্গ জেলা পরিষদ কার্যালয় গড়ে তোলা হবে। সভাধিপতি দেবু টুডু সপ্তাহে তিন দিন সেখানে বসবেন। অন্য বিভাগের কর্মাধক্ষ্যেরা আসানসোল ও বর্ধমানে পালা করে বসবেন বলে
সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভাধিপতি দেবুবাবু জানান, আদালত লাগোয়া জেলা পরিষদের ভবনটিতে তাঁর অফিস ছাড়াও সহকারী সভাধিপতি, পূর্ত দফতরের কর্মাধ্যক্ষ, বাস্তুকার ও অর্থ দফতরের কার্যালয় তৈরি হচ্ছে। এই ভবন লাগোয়া মহকুমার প্রশাসনিক ভবনের এক তলায় তৈরি হচ্ছে জেলা পরিষদের অন্য দফতরগুলির কর্মী, আধিকারিক ও কর্মাধ্যক্ষদের কার্যালয়। জেলা পরিষদ ভবনের পাশেই তৈরি হচ্ছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বিশ্রামকক্ষ।
জেলা সভাধিপতি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আসানসোলে কার্যালয়টি সাজার কাজে হাত দিয়েছি। জেলা ভাগের পরে শিল্পাঞ্চলের পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতগুলিতে উন্নয়নমূলক কাজে যেন কোনও শিথিলতা না আসে, তা নিশ্চিত করতে এই কার্যালয়ের দায়িত্ব বাড়ানো হচ্ছে।’’ জেলা পরিষদ ভাগের প্রশ্ন নিয়ে তাঁর দাবি, এ ব্যাপারে সরকারের কী পরিকল্পনা রয়েছে তা শুধু মুখ্যমন্ত্রীই বলতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy