সংগৃহীত চিত্র।
চলতি বছর হচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)। তবে পরীক্ষা না হলেও ২০২২ সালে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের তোড়জোড় শুরু করল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার আগে পূর্ববর্তী পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ চায় সরকার। ইতিমধ্যেই স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফ থেকে জেলায় ডিপিএসসি-দের কাছ থেকে কোথায় কত শূন্যপদ রয়েছে, তার তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিক জানান, “২০২২ সালে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের যাতে দ্রুত নিয়োগ করা হয়, সে ব্যাপারে আমরা প্রস্তুত। সরকারের তরফ থেকে জেলাভিত্তিক ভ্যাকেন্সি লিস্ট এলেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।”
২০২২-এর পরে ২০২৩-এও হয়েছিল প্রাথমিকের টেট। ২০২২ সালে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর টেট পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষের মতো। উত্তীর্ণ হন প্রায় দেড় লক্ষ পরীক্ষার্থী। যার মধ্যে ডিএলএড উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ হাজার মতো। পরের বছর, ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর পরীক্ষা গ্রহণ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় বসেন ২ লক্ষ ৭২ হাজার জন। পরীক্ষার পর বছর ঘুরতে চললেও এখনও তার ফল প্রকাশ করতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে গেলে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা প্রয়োজন। পরীক্ষার সঙ্গে নিয়োগের ব্যবস্থাও দ্রুত করতে হবে। দু’বছর ধরে অপেক্ষা করে আছে উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। এত সময় কেন লাগল?”
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ বার হয়েছিল টেট পরীক্ষা। তার ফল প্রকাশে দেরি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের ব্যাখ্যা- নিয়োগ ও ২০২৩-এর পরীক্ষার রেজাল্ট একই সময়ের মধ্যে বার করা হবে। তার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “স্থায়ী পদে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ শিক্ষক নিয়োগে উদ্যোগী হয়েছে শুনে ভাল লাগল। কিন্তু কবে নিয়োগ করবে, সেটা বললে ভাল হয়। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে এই উদ্যোগ?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy