Advertisement
E-Paper

প্রতিনিধিরা ‘উদাসীন’, ঠেক ভাঙলেন মহিলারা

আপাররোডের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বাসস্ট্যান্ড মোড় ও ইস্কো আবাসন লাগোয়া অঞ্চলে গজিয়ে উঠেছে একাধিক মদের ঠেক।

মদের ঠেক ভাঙতে পথে মহিলারা। নিজস্ব চিত্র

মদের ঠেক ভাঙতে পথে মহিলারা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৩ ০৮:৫৯
Share
Save

মদের ঠেক ভাঙতে, পুরপ্রতিনিধি থেকে পুলিশ এবং ইস্কো কর্তৃপক্ষকে বার বার বলা হয়েছে। অভিযোগ, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি। বাধ্য হয়ে মহিলারা নিজেরাই ঠেক ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলেন। ফের যেন সেগুলি গজিয়ে না ওঠে, তা নিশ্চিত করতে থানায় স্মারকলিপিও দেন। মঙ্গলবার রাতে বার্নপুরের আপাররোড এলাকার ঘটনা। হিরাপুর থানার ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

আপাররোডের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বাসস্ট্যান্ড মোড় ও ইস্কো আবাসন লাগোয়া অঞ্চলে গজিয়ে উঠেছে একাধিক মদের ঠেক। দরমার বেড়া ও টালির ছাদের ঝুপড়ি বানিয়ে নিয়মিত মদের আসর বসানো হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয়ে এ রকমই একাধিক ঝুপড়িতে ভাঙচুর চালান এলাকার প্রায় ৬০ জন মহিলা। তাঁদের মধ্যে এক জন মিতা চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, সূর্য অস্ত গেলেই মদের আসর বসে যায়। প্রায় সারা রাত চলে আসর। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বহিরাগত দুষ্কৃতীরাও দলবেধে আসরে যোগ দেন। এর জেরে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। মিতার অভিযোগ, “পুলিশের কাছে বার বার এ সব বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেও, ফল হয়নি।” তিনি বলেন, “তাই নিজেরাই জোটবদ্ধ হয়ে ঠেক ভেঙে দিয়েছি।” এই অভিযানে থাকা আর এক মহিলা প্রিয়াঙ্কা রক্ষিত বলেন, “ছেলেমেয়েরা রাতে ওই রাস্তা দিয়ে গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে পড়ে বাড়ি ফিরতে ভয় পায়। অথচ এটাই আমাদের বাড়িতে যাওয়ার এক মাত্র রাস্তা।” বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলাকাটি ইস্কো কারাখানার অধীন। এলাকায় পথবাতির ব্যবস্থা করেছেন ইস্কো কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, কিন্তু অবৈধ মদের ঠেকগুলি যাঁরা চালান, তাঁরা নিশ্চিন্তে ব্যবসা চালানোর জন্য সেগুলি ভেঙে দেন। ফলে সন্ধ্যা নামলেই পুরো অঞ্চলটি অন্ধকারে ডুবে যায়।

এলাকাটি আসানসোল পুরসভার ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। পুরপ্রতিনিধি অশোক রুদ্র এ প্রসঙ্গে বলেন, “আপাররোড এলাকায় অবৈধ মদের ঠেক চলার অভিযোগ আমিও পেয়েছি। পুলিশকেও ব্যবস্থা নিতে বলেছি। পুলিশি অভিযান চালানোর কয়েকদিন পরে, এ সব বন্ধ থাকে। পরে, তা ফের শুরু হয়।” অশোকের সংযোজন: এলাকাটি পুরোপুরি ইস্কোর। তিনি ইস্কো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাবেন। পুলিশের দাবি, প্রায় সময়ই অভিযান চালানো হয়। গ্রেফতারও করা হয়। পরিস্থিতি শান্ত হলে, ঠেক বসতে থাকে। তবে মঙ্গলবারের ঘটনার পরে, পুলিশ ওই এলাকায় নিয়মিত নজরদারি চালানোর আশ্বাস দিয়েছে। এ দিকে, ইস্কোর জনসংযোগ আধিকারিক ভাস্কর কুমার বলেন, “সংস্থা এলাকায় এ সব বন্ধ করতে উদ্যোগী হবে।” তাঁর দাবি, এলাকায় এই সব অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধেও নিয়মিত অভিযান চালানো হয়।এ বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপকরা হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Asansol

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}