বিপদ: কালনার বুলবুলিতলার এই বাঁকেই ঘটে দুর্ঘটনা। নিজস্ব চিত্র
ব্যস্ত রাস্তায় বিপজ্জনক বাঁক। যাক এক দিক থেকে নজরে পড়ে না অন্যদিকের যানবাহন। গতিও বোঝা যায় না। ফল, যা হওয়ার তাই। পরপর দুর্ঘটনা লেগেই থাকে কালনা-বর্ধমান, এসটিকেকে রোড, গুড়াপ রোডে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এক দিকে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে প্রচার চলছে, অন্য দিকে এই বাঁকগুলিতে নজরদারি বা গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকায় পরপর দুর্ঘটনা ঘটছে। কখনও হাসপাতাল থেকে পালানো রোগীকে পিষে দিচ্ছে রাতের বেপরোয়া মোটরবাইক, কখনও নিয়ন্ত্রণ হারানো গাড়ির ধাক্কায় সেতুর নিচে নদীতে পরে মৃত্যু হচ্ছে মোটরবাইক আরোহীর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কুড়ি দিনে নানা দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে চার জনের। আহত হয়েছেন আরও বহু। এর মধ্যে বেশির ভাগ দুর্ঘটনাই ঘটেছে ওই বিপজ্জনক বাঁক পেরোতে গিয়ে।
এসটিকেকে রোড, কালনা-বর্ধমান রোড, কালনা-গুড়াপ রোডে এই ধরণের বেশ কয়েকটা বাঁক রয়েছে। রয়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তাগুলি তৈরির সময় সরকারের তরফে জমি অধিগ্রহণ করার সময় বহু চাষিই জমি দিতে চাননি। ফলে পূর্ত দফতর বাধ্য হয়ে কাছাকাছি অন্য জমি অধিগ্রহণ করে। সোজা রাস্তাও আঁকাবাঁকা হয়। পরবর্তীতে আশপাশে নানা নির্মাণ হওয়ায় বাঁকগুলি আরও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। এমনই একটি বাঁক রয়েছে বুলবুলিতলা বাজারে ঢোকার মুখে। বাসিন্দাদের দাবি, উল্টো দিকের গাড়ি দেখা যায় না। ফলে প্রায়ই মুখোমুখি দুর্ঘটনা ঘটে। এই রোডের সাতগাছিয়া, বোহার, গদাইতলা এলাকাতেও এমন বাঁক রয়েছে। এসটিকেকে রোডের নন্দগ্রাম, মালতীপুর, কালেখাঁতলা, পারুলিয়াতেও বহু বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে। কালনা-পাণ্ডুয়া রোডে রামেশ্বরপুর গ্রামের কাছেও বাঁকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাক চালক সুমন্ত ঘোষের কথায়, ‘‘ভিন এলাকার চালকেরা রাতে বা দিনেও একটু অসাবধান হলেই দুর্ঘটনা ঘটে।’’ বাঁকের মুখে সতর্কীকরণ বোর্ড এবং গতি নিয়ন্ত্রণের বন্দোবস্তেরও দাবি তুলেছেন তাঁরা। ধাত্রীগ্রাম এলাকার চম্পা বসাকেরও দাবি, প্রশাসনের উচিত বাঁকে আলোর ব্যবস্থা করা।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বৈঠক করে বিডিওদের এলাকার বিপজ্জনক স্থান চিহ্নিত করে তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে বিপজ্জনক বাঁকগুলিও। কালনার মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘‘বিডিওদের পাঠানো তালিকা পূর্ত দফতরে পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy