বিশ্বদীপ আচার্য
শুধু মানুষ নয়, পুলিশ-কুকুর পাঠিয়েও চলল তল্লাশি। তবু শুক্রবারও খোঁজ মিলল না সিকিমে ট্রেক করতে গিয়ে নিখোঁজ কলেজ পড়ুয়া বিশ্বদীপ আচার্যের। শুক্রবার সন্ধেয় ইয়কসাম পৌঁছেছেন যুবকল্যাণ দফতরের পর্বতারোহণ শাখার কার্যকরী উপদেষ্টা দীপঙ্কর ঘোষ। ইয়কসামেরই ট্রেকিং আয়োজক সংস্থা ‘রেড পান্ডা ট্রেকস অ্যান্ড ট্র্যাভেলস’-এর মাধ্যমেই জোংরি-গোয়েচা লা ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বদীপ। গত শনিবার বাখিম থেকে নিখোঁজ তিনি।
দীপঙ্করবাবু জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরেই একটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ল্যাব্রাডর কুকুর নিয়ে বাখিম পৌঁছেছে সিকিম পুলিশ ও বন দফতরের দল।
২০০৫ সালে একই পথে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন বছর পঞ্চাশের জার্মান পর্যটক হ্যান্স ওবেরময়ের। ফিরতি পথে বাখিমের আগের গ্রাম চোখা থেকে আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। কয়েক দিন পরে অবশ্য তাঁর জলের বোতল আর ওয়াকিং স্টিক উদ্ধার করা গিয়েছিল জঙ্গলের ভিতর থেকে। পুলিশ কুকুর কাজে লাগিয়েও ওবেরময়েরের সন্ধান মেলেনি। এ প্রসঙ্গেই ‘হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন’ (ন্যাফ)-এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু জানালেন, বাখিমের পাশের জঙ্গলটি ঢালু হয়ে নীচের দিকে নেমে প্রেক চু নদীর ধারে শেষ হয়েছে। অনেক ওপর থেকে জলের শব্দ শোনা যায়। কিন্তু শব্দের উৎস ধরে এগোলে গভীরতর জঙ্গলে ঢুকে পড়ার আশঙ্কাই বেশি।
বিশ্বদীপের দলের বাকি তিন সঙ্গী ও গাইডরা ট্রেকিং শেষ করে শুক্রবার ইয়কসাম ফিরেছেন। পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। জানা গিয়েছে, চলতে চলতে পিছিয়ে পড়লে সঙ্গী ও গাইডদের এগিয়ে যেতে বলেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, পথ চেনেন, চোখা পর্যন্ত পৌঁছতে পারবেন। তার পর থেকেই নিখোঁজ তিনি।
ইয়কসামেরই স্থানীয় গাইডদের একাংশের অভিযোগ, বিশ্বদীপ এসে পৌঁছচ্ছেন না দেখেও দলের বাকি সদস্যরা এগিয়ে গেলেন কী ভাবে? তাঁদের দাবি, শনিবার যখন বিশ্বদীপ সংস্থাকে ফোন করে পথ হারানোর কথা জানিয়েছিলেন, তখনই পদক্ষেপ করা হলে বিপদের আশঙ্কা অনেকটাই কম থাকত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy