ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
এক দিকে বেরিয়ে রয়েছে লেজ, অন্য দিকে দেখা যাচ্ছে মুখ। এ যে কুমির! তাকেই কোলে নিয়ে স্কুটারে চেপেছেন দুই তরুণ। আরোহী যত্ন করে কুমিরটিকে কোলে তুলে রেখেছেন। এমনই এক দৃশ্য ধরা পড়েছে গুজরাতের বরোদায়। সমাজমাধ্যমে এই ভিডিয়োটি ছড়িয়েও পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
জানা গিয়েছে, বিশ্বামিত্রী নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে লোকালয় থেকে এই কুমিরটিকে উদ্ধার করেছে দুই তরুণ। সেই কুমিরটিকে উদ্ধার করে বন দফতরে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। তরুণদের মধ্যে এক জন স্কুটার চালাচ্ছেন এবং অন্য জন কুমিরটিকে কোলে নিয়ে বসে রয়েছেন। নিরাপত্তার জন্য কুমিরের মুখ কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা রয়েছে। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দুই তরুণই সরকারি কর্মী।
অগস্ট মাসের শেষের দিকে একনাগাড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে ভিজেছিল বরোদা শহর। অনবরত বৃষ্টির কারণে বরোদার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া বিশ্বামিত্রী নদীর জলস্তর বেড়েছিল। সেই জল প্রবেশ করেছিল বরোদা শহরে। তার সঙ্গে শহরের ভিতর ঢুকে পড়েছিল নদীতে থাকা একাধিক কুমির। জলস্তর কমলে বরোদার লোকালয় থেকে উদ্ধার করা হয় ২৪টি কুমির। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে রবিবার এমন তথ্য দিয়েছে গুজরাতের বন দফতর। বিশ্বামিত্রীর জলস্তর নামতেই লোকালয় উদ্ধার হওয়া কুমিরগুলিকে আবার নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সবচেয়ে ছোট মাপের যে কুমিরটি উদ্ধার হয়েছে সেটি দুই ফুট লম্বা। লোকালয় থেকে উদ্ধার সবচেয়ে বড় কুমিরটি লম্বায় ১৪ ফুট।
বন আধিকারিক করণসিংহ রাজপুত বলেন, “২৪টি কুমির ছাড়াও আমরা আরও ৭৫টি প্রাণী উদ্ধার করেছি। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি বড় কচ্ছপ, যেগুলির ওজন ৪০ কেজির কাছাকাছি। একটি সজারু উদ্ধার হয়েছে। কেউটে-সহ বেশ কিছু বিষধর সাপও উদ্ধার করা হয়েছে।” বন দফতর সূত্রে খবর, বিশ্বামিত্রী নদীতে প্রায় ৪৪০টি কুমিরের বাস রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy