শীতের টাটকা বাতাস বুকে ভরে নেওয়ার জন্য আপনার গন্তব্য হতেই পারে জলপাইগুড়ির গজলডোবা।
কারও কাছে শীত মানে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুম, আর কারও কাছে শীত মানে চুটিয়ে ভ্রমণ। সপ্তাহান্তে আর বাড়িতে থাকতে মন টেকে না! কাছেপিঠে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? কোথায় যাওয়া যায় ভেবেই নাজেহাল! শীতের টাটকা বাতাস বুকে ভরে নেওয়ার জন্য আপনার গন্তব্য হতেই পারে জলপাইগুড়ির গজলডোবা। নীল জলাধার, সবুজ বনানী, পাখিদের কলরব শুনতে শুনতে শিকারায় ঘুরতে চাইলে এই ঠিকানা আপনার আদর্শ গন্তব্য।
জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারের ওদলাবাড়ির খুব কাছেই রয়েছে ছোট্ট গ্রাম গজলডোবা। সম্প্রতি সরকারি উদ্যোগে এই গ্রাম ঘিরেই গড়ে তোলা হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র। চাষের কাজের জন্য তিস্তার উপর বাঁধ দেওয়ার ফলে এখানে তৈরি হয়েছে নীল জলাধার। অসংখ্য পরিযায়ী পাখি প্রতি বছর ভিড় করে এই হ্রদগুলিতে। দেখা মিলতে পারে হাতিরও। গজলডোবার এক পাশে রয়েছে অপালচাঁদ অরণ্য এবং আর এক দিকে রয়েছে বৈকুণ্ঠপুর অরণ্য। তিস্তা নদীর উপর মৎস্যজীবীদের নৌকায় চেপে চারিদিকটা ঘুরে দেখতে মন্দ লাগবে না। ভাগ্য সহায় থাকলে এই গ্রাম থেকেই দেখা মিলতে পারে কাঞ্চনজঙ্ঘারও। রেড নেপড আইবিস, রিভার ল্যাপউইং, লিটল রিংড প্লোভার, নর্দার্ন ল্যাপউইং-এর মতো পাখির দেখা মেলে এই গ্রামে।
কী করে যাবেন
শিলিগুড়ি বা জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে নেমে খুব সহজেই চলে যেতে পারেন গজলডোবা। এনজেপি থেকে গাড়ি করে চলে আসা যায় এখানে। সময় লাগে ঘণ্টাখানেক। বাগডোগরা থেকে এখানকার দূরত্ব ৩২ কিলোমিটার। নভেম্বর থেকে মার্চ গজলডোবায় যাওয়ার সেরা সময়।
কোথায় থাকবেন
গজলডোবায় সরকারি উদ্যোগে ২০০ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে বুক করা যায় ঘর। হাতে সময় থাকলে, ঘুরে আসতে পারেন গরুমারা জাতীয় উদ্যানও। গজলডোবা থেকে গরুমারার দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy