আমাদপুর রাজবাড়িটিকেই নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। ছবি: সংগৃহীত।
জমিদারি ব্যবস্থা উঠে গিয়েছে বহু দিন। কিন্তু বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে আজও রয়েছে নানা জমিদার বাড়ি। বিশাল সে সব অট্টালিকার আনাচ-কানাচে এখনও লেগে আছে ইতিহাসের গন্ধ। সেই সব বাড়ির অনেকগুলিকেই পর্যটকদের জন্য সাজিয়ে তোলা হয়েছে নতুন সাজে। তেমনই একটি ‘জমিদার বাড়ি’ রয়েছে বর্ধমানের মেমারির অনতি দূরে আমাদপুর গ্রামে। শোনা যায়, আজ থেকে প্রায় চারশো বছর আগে বর্ধমানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জমিদারি পায় এই পরিবার। জমিদারি ‘প্রথা’ অবলুপ্ত হওয়ার পর উত্তরসূরিরা বাড়ির একটি অংশ সংস্কার করে তা খুলে দিয়েছেন পর্যটকদের জন্য।
প্রায় চারশো বছরের পুরনো বাড়িটির বিশাল সব ঘর, মেহগনি কাঠের আসবাব, ঝাড়বাতি, জমিদারি বৈঠকখানায় সাজিয়ে রাখা ছবি মিলিয়ে পর্যটকরা পেতে পারেন ইতিহাসের এক অদ্ভুত অনুভূতি। সঙ্গে রয়েছে সবুজ বন, দিঘি। আর পাঁচটি আটপৌঢ়ে গ্রামের থেকে আমাদপুর অনেকটাই আলাদা। হলদে পাকা ধানি জমি, দিঘির পাড়, মন্দির এই নিয়ে আমাদপুর যেন গল্পের বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা এক গ্রাম। মনোরম পরিবেশের সঙ্গে রয়েছে টেরাকোটার কাজ সমৃদ্ধ মন্দির। এ ছাড়াও, প্রাচীন নিশংক আশ্রম, বটতলা, বাঘবাড়ি, আদিবাসী পাড়া— ঘুরে দেখার জায়গার অভাব নেই। আমাদপুরে দেবী কালীর থানও বেশ বিখ্যাত। বছরভর এখানে পূজার্চনা চলে।
কী ভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে আমাদপুরের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটারের মতো। সড়ক পথে যেতে গেলে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমানের মেমারি যেতে হবে। সেখান থেকে আমাদপুর মাত্র ৩ কিলোমিটার। কলকাতা থেকে গাড়িতে চাপলে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায়। ট্রেনে যেতে চাইলে নামতে হবে মেমারি স্টেশনে। সেখান থেকে ছোট গাড়িতে আমাদপুর।
কোথায় থাকবেন?
আমাদপুর রাজবাড়িটিকেই নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। রাজবাড়িতে রাত্রিবাস ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে আগে থেকে বুক করে যাওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy