রাজা নেই। রাজ্যপাটও নেই। রয়ে গিয়েছে ইতিহাস। রাজার হত্যার স্মৃতি বহন করে চলেছে অরণ্যের গহীনে থাকা পরিত্যক্ত ভাঙা গড়। সেখানে আজও কান পাতলে যেন শোনা যায় ইতিহাসের স্বর।
নিখাদ প্রকৃতি উপভোগে গিয়েও সাক্ষী হতে পারেন এমন রাজকাহিনির। উত্তরবঙ্গের কালিম্পং জেলাতেই রয়েছে ডালিম দুর্গ। কাছেই ডালিমখোলা। খরস্রোতা নদী বয়ে চলেছে নিজের ছন্দে। তারই অদূরে চেল নদীর পাশে পাহাড়ের মাথায় শেষ লেপচা রাজার দুর্গ। ইতিহাস বলছে, লেপচা রাজার এই গড় ১৮৬৫ সালে দখল করেছিলেন ভুটানের রাজা। তার আগে ষড়যন্ত্র করে লেপচা রাজার শিরশ্ছেদ করে দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল দুর্গ সংলগ্ল চেল নদীতে। সেই থেকে এই নদী ‘ভুটিয়াদহ’ নামেও পরিচিত।
আরও পড়ুন:
এখন সেই গড়ের ধ্বংসাবশেষ পর্যটনকেন্দ্র। গাড়ির রাস্তা থাকলেও দুর্গে পৌঁছতে বেশ কিছুটা পাহাড়ি পথে হাঁটতেই হয়।
পাহাড়ের মাথা থেকে দেখা যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। অনুচ্চ পাহাড় ঘিরে রেখেছে আশপাশ। গরুবাথান থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে ডালিমখোলা গ্রাম। সেখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে ডালিম নদী। পর্যটকদের কাছে এখনও তেমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি এই স্থান। স্থানীয়েরা এখানে পিকনিক করতে আসেন। ডালিমখোলা থেকে ঘুরে নেওয়া যায় ডালিম দুর্গ, ডালিম ভিউ পয়েন্ট।

ডালিম দুর্গের ধ্বংসাবশেষ। ছবি:সংগৃহীত।
কী ভাবে যাবেন?
শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং— যে কোনও জায়গা থেকেই ঘুরে নেওয়া যায় গরুবাথান। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গজলডোবার রাস্তা হয়ে গেলে গরুবাথানের দূরত্ব ৬৩ কিলোমিটার। গরুবাথান থেকে ডালিম ফোর্টের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে গরুবাথানের দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। সেখান থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে চলে আসতে পারেন।
কোন সময় যাবেন?
প্রবল গরমের সময় ছাড়া সারা বছরই ডালিমখোলা যাওয়া যায়। বর্ষার সময় সবুজ প্রকৃতি আরও সুন্দর হয়ে ওঠে।
কোথায় থাকবেন?
গরুবাথানে থাকার একাধিক হোটেল রয়েছে। বিভিন্ন মানের হোটেল পাবেন থাকার জন্য।