বর্ষা খাতায়-কলমে এসে গিয়েছে, কিন্তু সশরীরে তার বিশেষ দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ‘গরমকালীন’ সমস্যাগুলো থেকে এখনও মুক্তি মেলেনি এবং আগামী আরও কিছু দিন তার জ্বালাতন আমাদের ভোগ করতে হবে। এ সময় সাধারণ র্যাশ থেকে জেদি অ্যালার্জি বড্ড জ্বালাচ্ছে এবং দুই থাইয়ের মধ্যে ঘষা লাগার কারণে জ্বালা, যে সমস্যাটিতে নাজেহাল মূলত মহিলারাই। তাই নিষ্কৃতি পাওয়ার উপায় জানাটা খুব দরকার।
• যাঁদের ত্বক খুব সেনসিটিভ, গরমে শরীরের বিভিন্ন অংশ হঠাৎ লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি বা র্যাশ বেরোনো এই ধরনের সমস্যাগুলো হতে থাকে। এ ক্ষেত্রে সব সময় হাতের কাছে ক্যালামাইন জাতীয় লোশন রাখুন। চটজলদি আরাম মিলবে।
• গরমেও স্কিন হাইড্রেটেড রাখা জরুরি, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে যদি ক্রিম, ময়শ্চরাইজার বা লোশন লাগানোর পরিমাণটা কিছুটা বেশি হয়ে যায়, তা হলেও কিন্তু ত্বক শ্বাস নিতে পারে না। ফলে চুলকানি বা র্যাশের উৎপাত শুরু হয়ে যায়। তাই হালকা অয়েল বেসড ময়শ্চরাইজার মাখুন।
• চুলকানি বা দুই থাইয়ে ঘষা লাগার ফলে জ্বালা থেকে চটজলদি মুক্তির একটা উপায় কিন্তু বরফ। তাই এ ধরনের সমস্যা হলে, একটি পাতলা সুতির কাপড়ে কয়েকটি বরফের টুকরো নিয়ে ১০-১৫ মিনিট ওই অংশে চেপে ধরে থাকুন। এতে জ্বালাপোড়া ভাব কমবে।
ঠান্ডা দুধও এ ধরনের সমস্যায় খুব আরাম দেয়। এর সঙ্গে দুই থাইয়ে ঘষা লেগে চুলকানি বা র্যাশ বেরোলে, সুতির ঢিলেঢালা বটমওয়্যার পরুন, যাতে আক্রান্ত অংশে ঘষা না লাগে।
• বাচ্চাদের ন্যাপি র্যাশ হোক বা বড়দের গরমে হিটর্যাশ, ওটমিল দু’ক্ষেত্রেই খুব আরামদায়ক। এক বালতি জলে এক কাপ ওটমিল ভাল করে মিশিয়ে, সেই জলে স্নান করুন। তফাতটা বুঝতে পারবেন স্নানের পরই।
• অ্যাপল সিডার ভিনিগারের মধ্যে থাকা অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের কারণে তা ইচিং বা থাইয়ের জ্বালা ভাব থেকে সহজে আরাম দেয়। কটন বল এই ভিনিগারে ডুবিয়ে ওই অংশে লাগান, আরাম পাবেন।
• পুদিনা পাতা তো রান্নায় হামেশাই ব্যবহার হয়, এটি কিন্তু ত্বকের নানা সমস্যাতেও ভীষণ উপকারী। চুলকানি, লাল হয়ে যাওয়া বা ফুলে ওঠার মতো সমস্যায় ত্বককে আরাম দিতে পুদিনা পাতা বেটে লাগান।
• অ্যালো ভেরার মধ্যে থাকা অ্যান্টিফাংগাল উপাদানের কারণে অ্যালো ভেরা বেসড ক্রিম বা এর ভিতর থেকে জেলির মতো অংশ বের করে নিয়েও স্কিনে লাগাতে পারেন। আরাম পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy