রাজস্থান রয়্যালসের তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ছবি পিটিআই।
টানা তিনটি ম্যাচ হারের পরে রাজস্থান রয়্যালসের তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস মনে করছেন, আর ভুল করার কোনও জায়গা নেই তাঁদের। বলে দিচ্ছেন, পিছন ফিরে তাকিয়ে আর লাভ নেই। কারণ, পরের দু’টি ম্যাচ যদি তাঁরা হারেন, তা হলে আইপিএলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেরাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। তাঁর কথাবার্তায় স্পষ্ট, পরে দু’টি ম্যাচ কার্যত কোয়ার্টার ও সেমিফাইনাল তাঁদের কাছে।
এই মুহূর্তে তিনটি ম্যাচ খেলে একটাও জিততে পারেনি রয়্যালস। একই অবস্থা বিরাট কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরেরও। এই দুই দলই আজ, মঙ্গলবার, জয়পুরে মুখোমুখি। যারা জিতবে, তাদের তবু একটা ঘুরে দাঁড়ানোর আশা থাকবে। ‘‘প্রথম তিনটি ম্যাচে আমরা খুবই ভাল পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছিলাম। তিনটিতেই আমরা জিততে পারতাম। আমরা সকলে বুঝতে পারছি, খেলায় মোক্ষম মুহূর্তগুলো জেতাটাই আসল ব্যাপার।’’ চেন্নাইয়ের কাছে শেষ ওভারে জেতার মতো পরিস্থিতি থাকা সত্ত্বেও হেরে যান তাঁরা। যা নিয়ে আক্ষেপ বেরিয়ে আসছে ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডারের মুখ থেকে। ‘‘শেষ ওভারে আমরা সীমানা অতিক্রম করতে পারলাম না!’’
টানা তিন ম্যাচ হারার মতো কী ঘটল? স্টোকস বলছেন, ‘‘তিন ম্যাচ হারার পরে হয়তো ইতিবাচক দিক খুঁজে বের করা কঠিন। তবুও আমরা তা খোঁজার চেষ্টা করছি। এখন আর পিছনে ফিরে তাকিয়ে লাভ নেই। আমরা যদি চারটি বা পাঁচটি ম্যাচ হেরে যাই, তখন ফিরে আসার রাস্তাটাই আর খোলা থাকবে না।’’
চেন্নাইয়ের হয়ে বাজিমাত করে চলেছেন তাদের বয়স্ক ক্রিকেটারেরাই। ব্যাট হাতে ধোনি ছিলেন বাজিগর। ফের সেই অপেক্ষা করে খেলতে খেলতে শেষে গিয়ে হাত খোলেন তিনি। ফলে ক্রিকেট বিশ্ব ফের মুগ্ধ ‘ফিনিশারে’। স্টোকসও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ধোনির। একই সঙ্গে বলতে হবে চেন্নাইয়ের হয়ে শেষ ওভার বল করতে আসা ডোয়েন ব্র্যাভোর কথাও। বছরের পর বছর ধরে চেন্নাইয়ের হয়ে শেষের ওভারে ভেল্কি দেখিয়ে চলেছেন ব্র্যাভো। খুব ভাল ‘স্লোয়ার বল’ রয়েছে তাঁর হাতে। তা দিয়েই শেষের ওভারগুলোতে বোকা বানান প্রতিপক্ষকে। এখনও যে তিনি ফুরিয়ে যাননি, তা রবিবার প্রমাণ করে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান তারকা। ধোনি এবং ব্র্যাভো— শেষের দুই তারকাই জিতিয়ে দেন চেন্নাইকে। এক জন ব্যাট হাতে, অন্য জন বল হাতে।
কিন্তু রয়্যালস কেন শেষ ওভারে ১২ রান করতে পারবে না? প্রশ্নটা উঠেছিল স্টোকসের সাংবাদিক সম্মেলনে। অলরাউন্ডার কার্যত মেনেই নেন, তাঁরা নিজেদের ভুলেই হেরেছেন। পাশাপাশি প্রশংসা করেন ব্র্যাভোর বোলিংয়েরও। বলেন, ‘‘ব্র্যাভো খুব অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। শেষ ওভারে প্রথম বলটা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং ও জানত, ঠিক কী করতে হবে।’’ স্টোকস জানান, শিশিরের কারণে বল ধরতে অসুবিধা হচ্ছিল। তা সত্ত্বেও ব্র্যাভো দারুণ বোলিং করে গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy