Once Called Talentless, Bollywood Actress, item girl Nora Fatehi now rules millions of hearts dgtl
Nora Fatehi
কাঁদিয়ে ছেড়েছিলেন কাস্টিং ডিরেক্টর, ৫ হাজার টাকা সম্বল নিয়ে বলিউডে আসা নোরায় মজে গোটা দেশ
মাত্র ৫ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। রক্ষণশীলতার বেড়াজাল ডিঙিয়ে বড়পর্দায় মুখ দেখানোই ছিল একমাত্র স্বপ্ন। কিন্তু স্বপ্ন দেখা যত সহজ, তা বাস্তবায়িত করা ততটাই কঠিন। মায়ানগরীতে পা রেখেই সেই উপলব্ধি হয়েছিল নোরা ফতেহির।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২১ ১৫:৩০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
মাত্র ৫ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। রক্ষণশীলতার বেড়াজাল ডিঙিয়ে বড়পর্দায় মুখ দেখানোই ছিল একমাত্র স্বপ্ন। কিন্তু স্বপ্ন দেখা যত সহজ, তা বাস্তবায়িত করা ততটাই কঠিন। মায়ানগরীতে পা রেখেই সেই উপলব্ধি হয়েছিল নোরা ফতেহির। এতটাই অপদার্থ প্রতিপন্ন করা হয় তাঁকে যে, এক কাস্টিং ডিরেক্টরের অফিস থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসতে হয়।
০২১৩
নয় নয় করে ৬ বছর মায়ানগরীতে কাটিয়ে ফেলেছেন নোরা। আজ যত বড় ব্যানারের ছবিই হোক না কেন, অন্তত একটা দৃশ্যেও তাঁকে রাখা চাই-ই পরিচালকের। কিন্তু এই সাফল্যে পেতে কম ঝড় ঝাপটা পোহাতে হয়নি তাঁকে। তাই সাফল্যের শিখরে পৌঁছেও অতীতের সেই দিনগুলি ভোলেননি তিনি। করিনা কপূরের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় নিজের মনের সেই দিকটাই মেলে ধরলেন নোরা।
০৩১৩
জীবনে অনেকের কাছেই আঘাত পেয়েছেন নোরা। অনেকেই চরম অপমান করেছেন তাঁকে। তাতে মনের উপর দিয়ে কী ঝড় ঝাপটা গিয়েছিল, তা নিয়ে বরাবরই অকপট নোরা। কিন্তু দুর্ব্যবহারকারীর নাম কখনও খোলসা করেননি তিনি। এ ক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।
০৪১৩
নোরা জানিয়েছেন, বাড়ির মেয়ে সিনেমায় কাজ করবে, ব্যাপারটা কখনও মেনেই নিতে পারেনি তাঁর পরিবার। কিন্তু বড়পর্দার হাতছানি এড়াতে পারেননি তিনি। তাই একরকম পালিয়েই এসেছিলেন মুম্বইয়ে। ভেবেছিলেন, খোঁজ খবর নিতে শুরু করলে একটা না একটা সুযোগ এসেই যাবে।
০৫১৩
তাই বলিউডের এক নামজাদা মহিলা কাস্টিং ডিরেক্টর নিজে থেকে ফোন করায় হাতে প্রায় চাঁদ পেয়েছিলেন নোরা। এক ডাকেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে যে কী ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি।
০৬১৩
নোরা জানিয়েছেন, ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ভয়ঙ্কর অপমান করেন ওই কাস্টিং ডিরেক্টর। মহিলা হিসেবে আর এক জন মহিলাকে যে ন্যূনতম সম্মানটুকু জানানো উচিত, তার ধারও ধারেননি তিনি। বরং তাঁর উপর রীতিমতো চিৎকার করতে থাকেন ওই কাস্টিং ডিরেক্টর। সেই সঙ্গে ফুলঝুড়ির মতো গালিগালাজ।
০৭১৩
নোরা জানিয়েছেন, তাঁর অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্নে জল ঢেলে দেন ওই কাস্টিং ডিরেক্টর। জানিয়ে দেন, তাঁর মতো হাজার হাজার মেয়ে রোজ এই শহরে ভিড় করেন। কিন্তু এঁদের বেশির ভাগেরই কোনও প্রতিভা নেই। নোরাও তাঁদের মতোই এক জন। অভিনেত্রী হওয়ার জন্য যে ‘এক্স ফ্যাক্টর’ লাগে, তার ছিটোফোঁটাও নেই তাঁর মধ্যে। এই ধরনের মেয়েদের বোঝা বইতে বইতে ক্লান্ত ইন্ডাস্ট্রি। ইন্ডাস্ট্রির এঁদের প্রয়োজনই নেই।
০৮১৩
ওই মহিলা কাস্টিং ডিরেক্টর যে এ ভাবে তাঁর মনোবল ভেঙে দিতে পারেন, তা কল্পনাও করতে পারেননি নোরা। কোনও রকমে ধন্যবাদ জানিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু রাস্তায় বেরিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন। ব্যর্থতার ভয় চেপে ধরে তাঁকে। দিশেহারা হয়ে পড়েন। কিন্তু ফিরে যাওয়ার রাস্তা ছিল না। তাই স্বপ্নপূরণের জেদ নিয়েই এগোতে থাকেন।
০৯১৩
নোরার কথায়, এসক্যালেটর বা লিফ্টে চেপে কম সময়ে উপরে ওঠা যায় বটে, কিন্তু সিঁড়ি অনেক বেশি নিরাপদ। এসক্যালেটর এবং লিফ্ট মাঝপথে আটকে গেলে, একেবারেই আটকে পড়তে হয়। সিঁড়িতে কিন্তু তা হওয়ার জো নেই। তাই সময় সাপেক্ষ হলেও সিঁড়ি ধরেই এগনোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাতেই সাফল্য আসে। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত যাঁরা তাঁর সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করতেন, আজ তাঁরাই সসম্মানে রাস্তা ছেড়ে দেন তাঁকে।
১০১৩
প্রত্যেকের জীবনেই এই ধরনের একাট ধাক্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন নোরা। তাঁর মতে, কোথাও না কোথাও ওই কাস্টিং ডিরেক্টরের আচরণ তাঁকে নিজেকে প্রমাণে আরও অনুপ্রাণিতই করেছিল। তবে তা থেকে শিক্ষাও নিয়েছেন তিনি। বুঝেছেন, সাফল্য এলে ঘোর সমালোচকরাও রাতারাতি বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করেন। নিজের আচরণ নিয়ে নানারকম সাফাই দেন। বোঝাতে চেষ্টা করেন, উনি প্রকৃত অর্থে শুভাকাঙ্খীই। কিন্তু কে শুভাকাঙ্খী আর কে পিছন থেকে ছুরি মারতে প্রস্তুত, তা এখন বুঝতে পারেন তিনি।
১১১৩
নোরা যদিও কারও নাম উল্লেখ করেননি। তবে ওই কাস্টিং ডিরেক্টর মহিলা ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কোন চরিত্রে কাকে বেশি মানাবে, বলিউডের কাস্টিং ডিরেক্টররা সেই গুরুদায়িত্ব সামলান। মূলত পুরুষতান্ত্রিক বলিউডে যে ক’জন মহিলা কাস্টিং ডিরেক্টর দাপিয়ে বেড়ান, তাঁদের মধ্যে শানু শর্মা, শ্রুতি মহাজন এবং নন্দিনী শ্রীকান্ত অন্যতম। রণবীর সিংহ, পরিণীতি চোপড়া, অর্জুন কপূর, স্বরা ভাস্কর, ভূমি পেডনেকরের মতো শিল্পীরা তাঁদের হাত ধরেই উঠে এসেছেন।
১২১৩
তবে এঁদের মধ্যে কেউ তাঁকে অপমান করেন কি না, তা খোলসা করেননি নোরা। করিনা বার বার জানতে চাইলেও, নাম উহ্যই রেখে গিয়েছেন তিনি। তবে সাফল্য পাওয়ার পর ওই কাস্টিং ডিরেক্টর নিজের আচরণের জন্য তাঁর কাছে ক্ষমা চান বলে জানিয়েছেন নোরা।
১৩১৩
নোরাকে কেই প্রতিভাহীন বলতে পারেন, এ কথা নিজের কানে বিশ্বাস করতে পারেননি করিনাও। তিনি এবং সইফ নোরার ভক্ত বলেও জানান করিনা। জীবনে নোরার মতো নাচে পারদর্শী কাউকে তিনি কখনও দেখেননি বলেও জানান তিনি।