আপনি যদি আগের ব্যবস্থা এবং নতুনের মধ্যে কোনটা আপনার পছন্দ না জানান, তাহলে কিন্তু নতুনটাই আপনার কর দেওয়ার প্রাথমিক পথ হয়ে থাকবে। আপনার বেতনের উপর প্রযোজ্য আয়করের হারে বদল এসেছে।
বেশিরভাগ গ্যারান্টিড রিটার্ন প্রকল্পে এখন ৭-৮ শতাংশ করে সুদ পাওয়া যাচ্ছে। যদি গড় মুদ্রাস্ফীতির হার ৭ শতাংশের আশেপাশে হয় তা হলে আপনার নিট প্রাপ্তি কিন্তু ১ শতাংশের আশেপাশেই হবে।
এই বছর বেড়াতে গিয়েছেন অফিসের তাড়ায়? ভাবছেন করছাড়ের সুবিধা নেবেন? কিন্তু গত চার বছরে কতগুলি ট্যুর করেছেন সে হিসেব কি রেখেছেন? আয়কর আইনের ১০(৫) ধারার অধীনে লিভ ট্রাভেল কনসেশনে আয়করে ছাড় মেলে।
বিনিয়োগের মেয়াদ, টাকার অঙ্ক, কত লাভ হয়েছে সে সবের উপর নির্ভর করছে এই করের পরিমাণ। ইক্যুইটিতে এক বছরের কম সময়ের বিনিয়োগ হলে এবং সেই অর্থবর্ষে লাভের পরিমাণযদি ১ লক্ষ টাকার উপর হয়, তা হলে আয়কর দাঁড়াবে ১৫ শতাংশ।
বাজারগত ঝুঁকি, কোম্পানির ঝুঁকি, কর যোগ্যতার ঝুঁকি, লিকুইডিটি ঝুঁকি, নিয়ন্ত্রক ঝুঁকি, সুদের হারের ঝুঁকি, মুদ্রাস্ফীতিসহ নানা ঝুঁকি রয়েছে এই তালিকায়। তবে একটু সচেতন থাকলেই এই ক্ষতি এড়ানো যায়।
এনপিএস অর্থাৎ ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে বছরে ৫০ হাজার টাকা রাখলে, সেকশন ৮০সিসিডি(১বি) -এর হিসাবে আপনার অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা আয়কর ছাড় দেবে। তা হলে এই মূহুর্তে আয়ের হিসেব দাঁড়াল ৮ লক্ষ টাকা।
যদি ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ এক বছরের বেশি সময় ধরে চলে ও সেই আর্থিক বছরে আয় ১ লক্ষ টাকার বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আয়ের উপর ১০ শতাংশ কর দিতে হবে বিনিয়োগকারীকে।
পাশাপাশি রয়েছে প্রতিরক্ষা খাতে খরচ আর অত্যাবশ্যকীয় আমদানি। সব মিলিয়ে সরকারের আয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ এই সব খাতে খরচ হওয়ার পরে পড়ে থাকে ৩০ শতাংশ। যা উন্নয়ন খাতে খরচের জন্য। তাই সরকারকে হয়তো আরও ঋণের রাস্তায় হাঁটতে হতে পারে।
এই উপধারায় আপনি ছাড় পাবেন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি, জীবন বিমা, ইএলএসএস, গৃহঋণের মূল শোধ, বাড়ি বা ফ্লাট কেনার জন্য স্টাম্প ডিউটির খরচ, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, ন্যাশনাল সেভিংস স্কিম ইত্যাদি।
৮০ টিটিবি ধারা অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সুদ বাবদ প্রবীণ নাগরিকদের আয় কর মুক্ত এবং সংশ্লিষ্ট আর্থিক সংস্থাকে তা জানানো থাকলে সূত্র থেকেও তা কাটা হবে না।