সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে ‘কবিতা মোমেন্টস্’ অনুষ্ঠানে কবিতার অনুষঙ্গে ব্যবহৃত হল গান, নাচ ও পর্দায় ফুটে ওঠা রেখা চিত্রায়ণ। অন্তরা দাস-এর এই আবৃত্তির অনুষ্ঠানে আরও এক শিল্পী ছিলেন শোভনসুন্দর বসু। শুরুতেই কৌশিক সেনগুপ্তের ‘আঁচল’ কবিতায়, কল্যাণ সেনবরাটের অনুভবী সুরারোপে, জয়তী চক্রবর্তী শোনালেন অনবদ্য গীতিরূপ। অন্তরা-র সামগ্রিক একক নিবেদনগুলিতে ছিল মেয়েবেলা থেকে সম্পূর্ণ নারী- যা পূর্ণতা পেয়েছে মাতৃরূপে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, রতনতনু ঘাঁটি, অপূর্ব দত্ত, দেবব্রত সিংহ, জয়দেব বসু, সুবোধ সরকার এবং সৈকত কুন্ডুদের কবিতা আবৃত্তিতে অন্তরা ছিল সাবলীল ও স্বচ্ছন্দ।
কোহিনুর সেনবরাট ও সহশিল্পীদের নৃত্য যেন কবিতাগুলিতে প্রাণ ফিরিয়ে দেয়, কখনও বাস্তবে, কখনও রূপকল্পে। এ দিন আলো ও যন্ত্রসঙ্গীত- আবৃত্তিকে অনেক এগিয়ে চলার প্রেরণা দিয়েছে। সেই বৈচিত্র্যের মধ্যেই মূল সুরটি রচিত হয়েছিল শোভনসুন্দর বসু ও অন্তরা দাস-এর যৌথ নিবেদনে। ‘প্রেম’ কবিতাটি মনে রাখার মতো। যেখানে স্বপ্ন ও বাস্তব মিশে তৈরি হয়েছিল এক অনুভবী মুহূর্ত। শোভনসুন্দরের ‘শব্দতত্ত্ব’ দিয়ে শুরু এই পর্যায়ের। পরে অন্তরা-র লেখা ‘সুনামী’ সত্যিই সুন্দর। অন্তরা ও শোভনসুন্দরের যৌথ কণ্ঠে জয় গোস্বামীর ‘জল হাওয়ার লেখা’ চার স্বরবৃত্তের ছন্দোবন্ধনে শুনতে ভাল লাগে। এ দিন আরও একটি বড় প্রাপ্তি শিবাশিস মুখোপাধ্যায়ের একটি সাম্প্রতিক কবিতা। কবিতাটি সাত, সাত ও পাঁচ মাত্রায়। যা সচরাচর দেখা যায় না। এই পর্বটিকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে সাইক্লোরামায় রেখা ও শব্দের সিনেমাটিক-এর যুগ্ম প্রয়াস। পরিকল্পনায় সুরজিৎ রায়। আয়োজক-‘সার্ভেপার্ক অদ্বিতীয়া’।
গানে-গানে
যেদিন প্রথম
‘সেদিন ছিল কি’, ‘হৃদিপদ্মে চরণ’, ‘ভেঙো না ভেঙো না’ প্রভৃতি আটটি অসাধারণ নজরুলগীতি গাইলেন স্নিগ্ধদেব সেনগুপ্ত। শ্রীনিবাস মিউজিক থেকে (সিডিতে) প্রকাশিত ‘যেদিন প্রথম’ সংকলনে। শিল্পীর দাবি, ‘‘দুই বাংলা থেকে প্রকাশিত একাধিক নজরুলগীতির সংকলনে এই গানগুলি প্রাধান্য পেয়েছে। আর গানের সুর আমি একাধিক প্রতিষ্ঠিত শিল্পীর রেকর্ডে, ক্যাসেটে শুনেছি বা শিখেছি।’’ সহযোগী শিল্পীরা হলেন কী বোর্ড-এ সুরজিৎ, বাঁশিতে সৌম্যজ্যোতি, গিটারে মৃণালকান্তি, সারেঙ্গি ও সেতারে দেবাশিস হালদার, ভাস্কর রায় প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy