— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় জাতীয় অরণ্যে একের পর এক হাতির মৃত্যুতে বাড়ছে রহস্য। ইতিমধ্যে হাতির মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০। সেই আবহে এ বার তদন্তে জানা গেল, বিষক্রিয়ার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ১০টি হাতির।
মঙ্গলবার থেকে একের পর এক হাতির মৃত্যুতে সাড়া পড়ে যায় নানা মহলে। তদন্তের নির্দেশ দেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রামনিবাস রাওয়াত। দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। হাতি-মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে মধ্যপ্রদেশ সরকার। দিল্লি থেকে বিশেষজ্ঞ দল বান্ধবগড়ে পৌঁছয়। ১৪ জন পশুচিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় ময়নাতদন্ত। তাতেই প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে, বিষক্রিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে হাতিগুলির। অতিরিক্ত মুখ্য বনসংরক্ষক আধিকারিক এল কৃষ্ণমূর্তিও জানিয়েছেন, হাতিদের দেহগুলি পরীক্ষা করে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে বিষক্রিয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে। মৃত হাতিগুলির সকলেরই পেটে প্রচুর পরিমাণে বাজরা পাওয়া গিয়েছে। তবে কী থেকে বিষক্রিয়া, না কি এর নেপথ্যে বড় কোনও চক্রান্ত কাজ করছে, তা নিয়ে এখনও সন্দিহান তদন্তকারীরা।
মঙ্গলবার বিকেলে বান্ধবগড় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের কোর খিটৌলি এলাকায় জঙ্গলে চারটি হাতির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন বন দফতরের কর্মীরা। আশপাশের জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে আরও পাঁচটি হাতিকে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাদেরও মৃত্যু হয়। শুক্রবার মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় আরও একটি হাতিকে। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দলে মোট ১৩টি হাতি ছিল। তার মধ্যে দলের একমাত্র পুরুষ হাতি-সহ ১০টির মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনটি হাতির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। এই তিনটি হাতি সুস্থ রয়েছে। অজয় দুবে নামে বন দফতরের এক কর্মী জানাচ্ছেন, সম্ভবত, অতিরিক্ত কীটনাশক দেওয়া ফসল খাওয়ার ফলে বিষক্রিয়ায় হাতিগুলির মৃত্যু হয়েছে। তবে সব দিক খতিয়ে দেখতে এখনও চলছে তদন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy