Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
4 Years of Modi Government

সাফল্য প্রচারেও কংগ্রেসের নিন্দা

চার বছর পূর্তিতে সরকারের সাফল্যের ব্যাখ্যা করতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। কিন্তু কার্যত তা বদলে গেল কংগ্রেসকে আক্রমণের মঞ্চে। ইউপিএ সরকারের সঙ্গে বিদেশনীতির বিভিন্ন বিষয় তুলনা করে সুষমা আজ প্রমাণ করতে চাইলেন তাঁদের শ্রেষ্ঠত্ব।

সুষমা স্বরাজ

সুষমা স্বরাজ

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৮ ০৪:৩৯
Share: Save:

চার বছর পূর্তিতে সরকারের সাফল্যের ব্যাখ্যা করতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। কিন্তু কার্যত তা বদলে গেল কংগ্রেসকে আক্রমণের মঞ্চে। ইউপিএ সরকারের সঙ্গে বিদেশনীতির বিভিন্ন বিষয় তুলনা করে সুষমা আজ প্রমাণ করতে চাইলেন তাঁদের শ্রেষ্ঠত্ব। তাঁর মতে, কংগ্রেস সরকারের বিদেশনীতি বন্দি ছিল গজদন্ত মিনারে। চার বছরে মোদী সরকার তা আমজনতার কাছে নিয়ে এসেছে।

এই ক’বছরে বিদেশমন্ত্রী হিসেবে কম কটাক্ষ-বিদ্রুপ সইতে হয়নি সুষমাকে। বলা হয়েছে, বিদেশনীতি আসলে প্রধানমন্ত্রী চালান। সুষমা নিমিত্তমাত্র। বিরোধীরা তাঁকে আখ্যা দিয়েছেন ‘টুইটার মন্ত্রী’। আজ ছিল সুষমার পাল্টা আক্রমণের পালা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘টুইটারের বিষয়টিই তো কংগ্রেসের বিদেশনীতিতে ছিল না। তারা নীতি তৈরি করেছে শুধু সম্ভ্রান্তজনের জন্য।’’ এই সূত্রে নিজের প্রসঙ্গও টানেন সুষমা, ‘‘আমি ৪১ বছর রাজনীতি করছি, ১১ বার লোকসভা ভোটে লড়েছি। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বুঝি। টুইটারের সাহায্যে বহু বিপদগ্রস্তকে দেশে ফিরিয়েছি। ওদের কেউ যখন বিদেশে আটকে যাবে, তখন বুঝবে কেমন লাগে!’’ এর পরে কিছুটা লঘু সুরে সুষমার মন্তব্য, ‘‘কোনও দেশে কোনও ভারতীয় সঙ্কটে রয়েছেন শুনলে সেখানকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে আমি ঘুমোতে দিই না! নিজেও ঘুমোই না!’’

পাকিস্তান থেকে চিন, রাশিয়া থেকে দক্ষিণ আমেরিকা— সর্বত্র মোদী সরকারের ‘দাপুটে’ নীতির কথা তুলে ধরেন বিদেশমন্ত্রী। পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘ট্র্যাক টু’-র মাধ্যমে দু’দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে কথা হলেও সন্ত্রাস চলতে থাকলে সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক আলোচনা কখনওই সম্ভব নয়। কথা বলতে ভারত রাজি, কিন্তু সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। সুষমার কথায়, ‘‘সীমান্তে যখন জানাজা (অন্ত্যেষ্টির জন্য সজ্জিত মৃতদেহ) উঠছে, কথাবার্তার শব্দ তখন ভাল লাগে না।’’ পাশাপাশি সুষমার দাবি, ‘‘সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানকে বিশ্বে একঘরে করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। ইসলামাবাদ আলোচনায় বসার জন্য এত উতলা কেন? আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের উপর চাপ তৈরি করেছে বলে!’’

চিন এবং রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক ঘরোয়া বৈঠকগুলির কথা তুলে ধরে সুষমা বলেন, ‘‘আমাদের বদনাম করার জন্য কংগ্রেস বলে বেড়ায় যে, মস্কোর সঙ্গে পুরনো মৈত্রী নষ্ট হয়ে গিয়েছে মোদী জমানায়। তারা এক বার সোচি বৈঠকের ছবিটা দেখুক। ডোকলাম নিয়ে আমাদের নিন্দা করাটাও বিরোধীদের বিকার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধ ছাড়াই আমরা সেখানে পরিস্থিতি সামলেছি। এখন সেখানে স্থিতাবস্থা রয়েছে। অভিনব উহান বৈঠকের পর চিনের সঙ্গে সম্পর্কও অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।’’

চিনের সঙ্গে যৌথ ভাবে আফগানিস্তানে প্রকল্প রূপায়ণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল উহানে। সেই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘দু’দেশ একসঙ্গে কাজ করলে কাবুলের উন্নয়নে দ্বিগুণ কাজ করা যাবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE