১১১ বছরে প্রয়াত শিবকুমার স্বামী। —ফাইল চিত্র
প্রয়াত হলেন কর্নাটকের লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের প্রাণপুরুষ তথা ধর্মগুরু শিবকুমার স্বামী। ১১১ বছরের শিবকুমার ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন। বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সোমবার মৃত্যু হয় তাঁর। আগামিকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটেয় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তাঁর প্রয়াণে কর্নাটক জুড়ে শোকের ছায়া।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী জানিয়েছেন, তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার স্কুল কলেজ ও সরকারি অফিস ছুটি থাকবে। পদ্মভূষণ শিবকুমার স্বামীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজনীতি, শিল্প, সিনেমা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা ভিড় জমান তাঁর আশ্রম সিদ্দাগঙ্গা মঠে। তাঁদের মধ্যেই দেখা যায় কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পাকেও।
১৯০৭ সালের পয়লা এপ্রিল কর্নাটকের রামনগরের বীরপুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। অল্প বয়সেই নানা সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ করে লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষার প্রসার, স্বাস্থ্য সচেতনতা-সহ প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেন তিনি। সেই কারণেই কার্যত হয়ে ওঠেন লিঙ্গায়েতদের ‘প্রভূ’।
আরও পড়ুন: দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সব গুণ রয়েছে মমতার মধ্যে, বললেন কংগ্রেস-সঙ্গী কুমারস্বামী
আরও পডু়ন: এত দ্রুত আয়োজন সম্ভব নয়, মোদীর ৮ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেড সভা বাতিল করল বিজেপি
সিদ্দাগঙ্গা মঠের প্রধানের পাশাপাশি শিবকুমার প্রতিষ্ঠা করেছেন সিদ্দাগঙ্গা এডুকেশন সোসাইটি। এই সোসাইটির অধীনে বর্তমানে ১২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে কর্নাটকে। এই সমাজ সেবামূলক কাজের জন্যই অসামরিক ক্ষেত্রে দেশে তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মান ‘পদ্মভূষণ’ দেয় ভারত সরকার। এ ছাড়া ২০১৫ সালে তিনি কর্নাটক রত্ন পুরস্কারও পান। ১৯৬৫ সালে কর্নাটক বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডিলিট উপাধি দেয়।
লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের কাছে কার্যত ভগবানের মর্যাদা পান শিবকুমার। কর্নাটকে তাঁর প্রভাব এতটাই যে রাজ্যের বহু প্রভাবশালী নেতা-নেত্রী তাঁর আশীর্বাদ নিতে ভোলেন না। শুধু তাই নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, সনিয়া গাঁধীকে একাধিক বার তাঁর আশীর্বাদ নিতে দেখা গিয়েছে।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy