শবরীমালার আয়াপ্পা মন্দির। ছবি- সংগৃহীত।
শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সী মহিলাদের ঢুকতে দেওয়ার দাবিতে এ বার লক্ষ লক্ষ মহিলা এক লাইনে দাঁড়িয়ে কেরলের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত গড়ে তুলবেন সুবিশাল প্রাচীর। চিনের প্রাচীরের ধাঁচে যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘গ্রেট ওয়াল অফ কেরালা’। যা দৈর্ঘ্যে হবে ৬০০ কিলোমিটার। কেরলের উত্তর প্রান্তের জেলা কাসারগড় থেকে শুরু হয়ে মহিলাদের দিয়ে গড়া সেই প্রাচীর শেষ হবে তিরুঅনন্তপুরমে।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন রবিবার এ কথা জানিয়েছেন। তাঁর মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সদস্য টমাস আইজ্যাক টুইট করে এ দিন জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও শবরীমালার আয়াপ্পা মন্দিরে সব বয়সী মহিলাদের ঢুকতে বাধা দিয়ে যে মধ্যযুগীয় উন্মাদনাকে উস্কে দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিবাদেই লক্ষ লক্ষ মহিলা বছর শুরুর দিনটিতে ওই প্রাচীর গড়ে তুলবেন। তাঁরা দাবি জানাবেন, শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সী মহিলাদের ঢুকতে বাধা দিয়ে কেরলকে যেন মধ্যযুগে ফিরিয়ে নিয়ে না যাওয়া হয়। ও দিকে, শবরীমালা ইস্যুতে দলীয় কর্মী ও পূণ্যার্থীদের মন বুঝতে আর তাঁদের সঙ্ঘবদ্ধ করতে, তাঁর পছন্দের চার জনকে কেরলে পাঠিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘প্রতিবাদীরা সে দিন একটাই বার্তা দেবেন। তা হল, রাজ্য (কেরল)-টাকে যেন পাগলাগারদ না বানানো হয়। আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায় কার্যকর করতে বাধ্য। কিন্তু শবরীমালা ইস্যুতে কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে গণ্ডগোলটা পাকাচ্ছে সঙ্ঘ পরিবার। শবরীমালাকে আর একটা অযোধ্যা বানাতে দেওয়া হবে না।’’
আরও পড়ুন- শবরীমালায় বিজেপির হার
আরও পড়ুন- শবরীমালা মন্দিরের সামনে এক মহিলাকে গ্রেফতার করে পুরস্কৃত মহিলা পুলিশ
অযোধ্যার যেমন ‘করসেবক’, তেমনই শবরীমালার আয়াপ্পা মন্দিরে সব বয়সী মহিলাদের ঢুকতে যাঁরা বাধা দিচ্ছেন, বিজেপি তাঁদের নাম দিয়েছে ‘সত্যাগ্রহী’। সেই ‘সত্যাগ্রহী’রা তাঁদের ‘কাজ’ (পড়ুন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে বাধা দেওয়া) করতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন কি না, তা জানতে তাঁদের সঙ্গে ‘সরাসরি কথা বলতে’ বেছে বেছে তাঁর পছন্দের চার জনকে কেরলে পাঠিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সরোজ পান্ডে, বিনোদ কুমার, প্রহ্লাদ জোশী ও নলিন কুমার কাতিল। দলীয় কর্মী তো বটেই, তাংদের পূণ্যার্থীদের সঙ্গেও কথা বলতে বলা হয়েছে। আয়াপ্পা মন্দিরের সঙ্গে যাঁরা বংশানুক্রমিক ভাবে জড়িত, সেই পাণ্ডালাম রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করতে বলা হয়েছে চার জনের ওই প্রতিনিধিদলকে। তাঁদের ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে বিজেপি সভাপতিকে।
শবরীমালা মন্দির আন্দোলনের ৩০ জনকে পুলিশের আটক করার প্রতিবাদে গত সপ্তাহে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) সদস্য, সমর্থকরা। বিক্ষোভ দেখানো হয় কোচি, আরানমুলা, কোল্লাম, আলাপুঝা, রান্নি, কালাড়ি, মালাপ্পুরম, ইদুক্কি ও থোড়ুপুঝাতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy