Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

মুসলিম ব্রাদারহুড যেন! তোপ সঙ্ঘকে

আলোচনা:  ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের অনুষ্ঠানে রাহুল গাঁধী। শুক্রবার লন্ডনে। ছবি: পিটিআই।

আলোচনা:  ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের অনুষ্ঠানে রাহুল গাঁধী। শুক্রবার লন্ডনে। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৮ ০৪:১১
Share: Save:

বিদেশের মাটিতে নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি আরএসএস-কেও সব চেয়ে তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ করলেন রাহুল গাঁধী। আরব দুনিয়ার ‘মুসলিম ব্রাদারহুড’-এর সঙ্গে সরাসরি সঙ্ঘের তুলনা টানলেন তিনি।

জার্মানির পরে আজ লন্ডন পৌঁছে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের অনুষ্ঠানে রাহুল অভিযোগ করেন, সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে নিশানা করছে আরএসএস। গত ৭০ বছরে এমন হয়নি। অর্থমন্ত্রী, মন্ত্রিসভা, রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে পাশ কাটিয়ে আরএসএসের ভাবনায় নোটবন্দি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ্যতা সত্ত্বেও সুষমা স্বরাজকে শুধু ভিসার কাজ দিয়ে বিদেশ মন্ত্রকে একাধিপত্য চালাচ্ছেন তিনি। তেমন আরএসএসেও মহিলাদের স্থান নেই। রাহুলের কথায়, ‘‘সঙ্ঘ যে ভাবে সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে কব্জা করতে চাইছে, তা মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে তুলনীয়। এদের মূল ভাবনাই হল, অন্যদের আদর্শ বিধ্বস্ত করে সব প্রতিষ্ঠানে একই আদর্শ কায়েম করা। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেছিলেন, তাঁদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। (প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর) রঘুরাম রাজনের কী হয়েছিল, দেখুন।’’

মুসলিম ব্রাদারহুড এমন একটি ইসলামিক সংস্থা, যারা ইসলামি আইন কায়েম করতে চায়। তাদের গতিবিধির জন্য অনেক দেশেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে মুসলিম ব্রাদারহুডের উপরে। রাহুলের বক্তব্য শুনেই দিল্লিতে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ‘‘প্রথমে আইএস-এর সঙ্গে দেশের বেকার সংখ্যালঘুদের তুলনা, তার পর বিজেপি-আরএসএসের সঙ্গে মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে তুলনা টেনে রাহুল গাঁধী কী করতে চাইছেন? তিনি কি আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতকে বদনাম করার সুপারি নিয়েছেন? ভারত নামক ভাবনার ভাড়াটে খুনি হয়ে উঠেছেন? বিরোধী দলের নেতা হয়েও তিনি এতটাই অপরিণত?’’

আরও পড়ুন: বেজিং-নীতিকে আক্রমণ কংগ্রেসের

কিন্তু রাহুলের বক্তব্য পরিষ্কার। তাঁর দাবি, বিজেপি-আরএসএস যে ভাবনা কায়েম করতে চাইছে, পরের লোকসভায় বিরোধীরা একজোট হয়ে তাকে পরাস্ত করবে। রাহুল বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। বিরোধীদের কাছে ৭০ শতাংশ ভোট রয়েছে। শুধু উত্তরপ্রদেশ আর বিহারেই বিরোধীদের জোট হলে ১২০টি আসনে প্রায় সাফ হয়ে যাবে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীকে আলিঙ্গন প্রসঙ্গ ফের টেনে এনে তিনি বলেন, ‘‘এত দিন ধরে আমার প্রতি নরেন্দ্র মোদীর ঘৃণা আর তাঁকে আমার এক বার আলিঙ্গন— কোনটা বেশি দাগ কেটেছে? ঘৃণার থেকে ভালবাসাই বেশি প্রভাবশালী।’’

আরও পড়ুন: লন্ডনে বসেও রাফাল নিয়ে তির রাহুলের

বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত বলেন, ‘‘যে ভাবে বিদেশের মাটিতে রাহুল একের পর এক মন্তব্য করছেন, তাতে এটাই স্পষ্ট হচ্ছে, তাঁর একটিই মাত্র গুণ। তিনি নরেন্দ্র মোদীকে ঘৃণা করেন।’’ কংগ্রেস পাল্টা বলছে, বিদেশে গিয়ে রাজনৈতিক বিরোধীদের আক্রমণের ধারাটা যিনি শুরু করেছিলেন, তাঁর নাম নরেন্দ্র মোদী।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE