ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদী।ফাইল চিত্র।
দিন দুয়েক আগেই তিনি বলেছিলেন, দু’দেশের সম্পর্কের মধ্যে সব থেকে বড় সমস্যা কাশ্মীর ইস্যু। একই সঙ্গে সে দিন পাকিস্তানের ভাবী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বার্তা ছিল, সেই সমস্যা মেটানোর লক্ষ্যে ভারত এক পা এগোলে তিনি দু’পা এগোতে রাজি। সেই মন্তব্যের ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই ইসলামাবাদকে শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা দিল নয়াদিল্লিও। আর এই বার্তা এল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে।
সোমবার মোদী ফোন করে শুভেচ্ছা জানান ইমরান খানকে। পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তেহরিক-এ-ইনসাফ (পিটিআই) জয়ের খবর আসার পরই প্রধানমন্ত্রী মোদী ইমরানকে ফোন করেন বলে নয়াদিল্লির বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর। নির্বাচনে পিটিআই সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করায় ইমরানকে অভিনন্দন জানান মোদী। এমন কূটনৈতিক সৌজন্য অবশ্য এর আগেও একাধিক বার দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের শপথ নেওয়ার দিন তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে আমন্ত্রণ জানিয়ে কূটনৈতিক সৌজন্যের নজির তৈরি করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী।
এ দিন মোদী এবং ইমরানের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে দু’দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সম্পর্কের উন্নতির বিষয় নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়। ইমরানের আমলে দুই দেশের সম্পর্কে আরও মজবুত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মোদী।
আরও পড়ুন: পাক ভোট নিয়ে প্রশ্ন আমেরিকার
এ দিকে, সোমবারই পিটিআইয়ের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ১১ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ইমরান খান। তবে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৭২ টি আসনের মধ্যে শেষপর্যন্ত ১১৬টি আসনে জয়ী হয়েই থেমে যেতে হয় ইমরান খানকে ৷ যদিও ম্যাজিক ফিগার ১৩৭টি থেকে বেশ কিছুটা আসন কম পেলেও ইমরানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া কেউ আটকাতে পারছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy