প্রতীকী ছবি।
দেশ জুড়ে ৫০ কোটি মোবাইল গ্রাহকের পরিষেবা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা জোরদার হতেই যৌথ বিবৃতি জারি করল টেলিকম দফতর এবং ইউডিএআই (ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া)। আধার সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উল্লেখ করে ওই বিবৃতিতে সব আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে জানানো হয়েছে, কোনও মোবাইল নম্বরের পরিষেবা বন্ধ হবে না। এমনকি, নতুন করে নো ইওর কাস্টমার বা কেওয়াইসি-ও বাধ্যতামূলক নয়। শুধুমাত্র যাঁরা চাইবেন, তাঁরাই বিকল্প কেওয়াইসি জমা দিতে পারেন। নয়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে সিম কার্ড দেওয়ার একটি অ্যাপ আনার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে বিবৃতিতে।
বুধবারই টেলিকম দফতরের সচিব অরুণা সুন্দররাজন টেলিকম সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। আধার তথা ইউডিএআইআই কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আলাদা একটি বৈঠক করেন টেলিকম সচিব। তার পরেই নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়, দেশের ৫০ কোটি মোবাইল গ্রাহকের কানেকশন সাময়িক ভাবে বন্ধ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সেই জল্পনা ও আশঙ্কা দূর করতেই যৌথ বিবৃতি জারি করেন কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর ও ইউডিএআই কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কানেকশন বন্ধ হওয়ার বিষয়টি ‘অসত্য ও কাল্পনিক’। নয়া কেওয়াইসির পুরোটাই গ্রাহকের নিজের ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে। শুধুমাত্র আধারের ভিত্তিতে যে সব সিম দেওয়া হয়েছে, সেগুলি বন্ধ করতে হবে, এমন কথা রায়ে কোথাও বলেনি সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: ‘#মিটু’ আন্দোলন চালিয়ে যাব, বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগেও অনড় নন্দিতা
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র যাঁরা চাইবেন, তাঁরাই আধার ছাড়া অন্যান্য নথি দিয়ে নতুন করে কেওয়াইসি জমা করতে পারবেন। অথবা যাঁরা মোবাইল সংস্থাগুলির কাছ থেকে আধার তথ্য ডিলিট করতে বা মুছে ফেলতে চান, তাঁদের নতুন করে পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো অন্য প্রমাণপত্র দিয়ে নতুন করে কেওয়াইসি দিতে হবে। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করা হবে না।
আরও পড়ুন: রাহুল সক্রিয় হতেই সিদ্ধান্ত, অষ্টমীতে ‘বিসর্জন’ আকবরের
অন্য দিকে ওই বিবৃতিতেই দুই সংস্থা জানিয়েছে, ডিজিটাল পদ্ধতিতে নতুন সিম কার্ড দেওয়ার জন্য একটি অ্যাপ আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যা সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনেই করা হবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ এবং সময়, তারিখ-সহ গ্রাহকের ছবি তুলে নেওয়া হবে। সচিত্র পরিচয়পত্রেরও ছবি তুলে আপলোড করে দেওয়া হবে। এজেন্টরা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপি-র মাধ্যমে সেটি যাচাই করবেন। তার পর গ্রাহক সঙ্গে সঙ্গেই হাতে হাতে সিম পেয়ে যাবেন। নতুন পদ্ধতিতেও গ্রাহকের কোনও ঝক্কি পোহাতে হবে না, দাবি দুই সংস্থার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy