ইদে মিষ্টি বিনিময় হল না ওয়াঘায়। ফাইল চিত্র।
ইদে খুশির ছোঁয়া লাগল না ওয়াঘা সীমান্তে। ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্ক এতটাই তিক্ত যে ওয়াঘায় মিষ্টি বিনিময় করল না দুই দেশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের এক সেনাকর্তা জানিয়েছেন, ‘‘একের পর এক সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে যারা সীমান্তে অশান্তি ছড়াচ্ছে, সেই পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রকম সৌজন্য দেখানো সম্ভব নয়।’’
এ দিকে ইদের দিনেও সীমান্তে গুলিগোলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। প্রাণ গিয়েছে বিকাশ গুরুং নামে এক সেনাকর্মীর। জানা গিয়েছে, নৌশেরা এলাকায় পাক রেঞ্জার্সদের গুলিতে জখম হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। ইদের নমাজ শেষ হতে না হতেই পাক রেঞ্জার্সদের গুলিতে ফের তেতে উঠেছে সীমান্ত।
সেনাবাহিনীর অভিযোগ, শুধুমাত্র চলতি বছরেই এক হাজার বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাক বাহিনী। সীমান্তে যাতে ২০০৩ সালের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি মেনে চলা হয়, সে জন্য ডিজিএমও পর্যায়ের বৈঠকে বসেছে দুই দেশ। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দু’মুখো নীতির অভিযোগ তুলে ভারতের দাবি, বৈঠকে শান্তির কথা বললেও, পাক নেতারা শান্তির নীতিতে বিশ্বাস করেন না। ইদের দিনেও পাকিস্তানের গুলিতে সেনাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় দিল্লি যে বিরক্ত, তা টের পাওয়া গিয়েছে ওয়াঘা সীমান্তে। উৎসব-পার্বনে প্রতিবেশীর সঙ্গে এত দিন মিষ্টি বিনিময় করা হয়েছে। কিন্তু সৌজন্যের সেই প্রথা থেকে এবার সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসএফ।
আরও পড়ুন: হত্যার আগে সেনাকর্মী ঔরঙ্গজেবকে জেরা জঙ্গিদের, ভিডিয়ো ইন্টারনেটে
আরও পড়ুন: ‘ধর্মরক্ষায় গৌরীকে গুলি’, সিটের জেরায় স্বীকারোক্তি আততায়ীর
এ দিকে ইদের দিনেও অশান্তির হাত থেকে রেহাই নেই কাশ্মীরের। ইদের নমাজ শেষ হতে না হতেই নিরাপত্তা বাহিনীর উপর পাথর হামলা হয়েছে শ্রীনগরে। তোলা হয়েছে আইএস-এর পতাকা। বিক্ষোভ চলছে বিভিন্ন এলাকায়। এরই মধ্যে ইদে ১১৫ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোযণা করেছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy