কংগ্রেস সভাপতি পদে আর থাকতে চান না, লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই তা জানিয়ে দিয়েছিলেন। তার পরেও বেশ কয়েক বার বুঝিয়ে দিয়েছেন, সিদ্ধান্ত বদলাতে চান না। বুধবার, টুইটে তাঁর ইস্তফাপত্রটিও দিয়ে দিলেন রাহুল গাঁধী। আর দলের ওয়ার্কিং কমিটিকে বললেন, দেরি না করে দলের নতুন নেতা বেছে নিতে।
এ দিন রাহুল বলেন, ‘‘আর দেরি না করে খুব দ্রুত নতুন সভাপতি বেছে নিক কংগ্রেস। দলের ওয়ার্কিং কমিটি (সিডব্লিউসি) এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য শীঘ্র বৈঠকে বসুক। আমি এই প্রক্রিয়াটায় আর থাকতে চাই না। ইস্তফা দিয়েছি ইতিমধ্যেই। আমি আর সভাপতি নই।’’ অন্য দিকে কংগ্রেসের শীর্ষ স্তরের কয়েকটি সূত্রের খবর, নেতা বেছে নিতে আর এক সপ্তাহের মধ্যেই বৈঠকে বসছে দলের ওয়ার্কিং কমিটি।
রাহুল গাঁধী সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন কি?
ইস্তফাপত্রে রাহুল লিখেছেন, ‘‘কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে দলের ভোট-ভরাডুবির জন্য আমিই দায়ী। আগামী দিনে দলের এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন বিশ্বাসযোগ্যতার। আর সেই জন্যই সব দায় মেনে নিয়ে আমি ইস্তফা দিলাম।’’ নতুন নেতা বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় যে তিনি আর থাকতে চান না, পদত্যাগপত্রে তার উল্লেখও করেছেন রাহুল। লিখেছেন, ‘‘কখনওই শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের জন্য লড়াই করিনি।’’
It is an honour for me to serve the Congress Party, whose values and ideals have served as the lifeblood of our beautiful nation.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) July 3, 2019
I owe the country and my organisation a debt of tremendous gratitude and love.
Jai Hind 🇮🇳 pic.twitter.com/WWGYt5YG4V
এই নির্বাচনের ফলাফল আগামী দিনে ভারতকে কী কী দিতে পারে আরও বেশি পরিমাণে, ইস্তফাপত্রে তারও উল্লেখ করেছেন রাহুল। লিখেছেন, ‘‘এই ক্ষমতাদখল (দ্বিতীয় মোদী সরকার) দেশজুড়ে হিংসাকে পৌঁছে দেবে এমন এক মাত্রায়, যা আমরা ভাবতেও পারছি না। তা দেশের দুর্দশা আরও বাড়াবে। কৃষক, বেকার, মহিলা, উপজাতি, দলিত ও সংখ্যালঘুরাই তার শিকার হবেন সবচেয়ে বেশি।’’
আরও পড়ুন- সংসদে রাহুল-অভাব মেটাতে নেত্রী সনিয়া
আরও পড়ুন- কৈলাস-পুত্রকে নিয়ে কড়া মোদী
লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরেই গত ২৫ মে রাহুল জানিয়ে দেন, তিনি আর কংগ্রেস সভাপতি পদে থাকতে চান না। তার পর তাঁকে দলের শীর্ষ নেতারা বোঝানোর চেষ্টা করেন অনেক। কিন্তু রাহুল প্রতি বারই জানিয়ে দেন, সিদ্ধান্ত বদলাতে তিনি রাজি নন।
সেই অর্থে রাহুলের এই সিদ্ধান্ত কার্যত আজ বুধবার সিলমোহর পড়ল। কংগ্রেসের দলীয় বিধান মেনে আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন মতিলাল ভোরা। অন্য দিকে রাহুলের ইস্তফা চূড়ান্ত হতেই এ বার পরবর্তী সভাপতি হিসেবে উঠে আসছে একাধিক নাম। দৌড়ে রয়েছেন সুশীল শিন্ডে, মল্লিকার্জুন খড়্গের মতো নেতারা।