বাপের বাড়ির অমতে বিয়ে করায় মেয়ে-জামাইকে মারধরের অভিযোগ উঠল বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে। ক্যানিংয়ের তালদি রাজাপুর গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ, বলাই নস্কর ও পুতুল নস্কর বাসন্তী পুজো উপলক্ষে মেয়ে-জামাইকে বাড়িতে ডেকেছিলেন। আনন্দ সর্দার স্ত্রী সুস্মিতাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি এলে মঙ্গলবার সকালে দু’জনকে বেধড়ক মারধর করা হয় হলে অভিযোগ উঠেছে বলাই ও পুতুলের বিরুদ্ধে। ক্যানিং থানায় মা-বাবার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান সুস্মিতা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মাস তিনেক আগে প্রেম করে বিয়ে হয় সুস্মিতা-আনন্দের। বিয়ে মেনে নেননি সুস্মিতার বাবা-মা। আনন্দ দিনমজুরি করেন, আর্থিক অবস্থা ভাল নয় বলেই আপত্তি জানিয়েছিলেন তাঁরা।
সম্প্রতি বাসন্তী পুজো উপললক্ষে মেয়ে-জামাইকে বাড়িতে ডেকে পাঠান বলাইরা। অভিযোগ, বাড়িতে এলে নানা ভাবে অপমান করা হয়। মঙ্গলবার সকালে কটূক্তির প্রতিবাদ করলে বলাই ও পুতুল লাঠি নিয়ে চড়াও হয় আনন্দের উপরে। স্বামীকে মার খেতে দেখে সুস্মিতা বাধা দেন। তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
সুস্মিতা বলেন, ‘‘বছরখানেক আগে আনন্দের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ও দিনমজুরি করলেও কর্মঠ, সৎ। তাই সংসার করব বলে ঠিক করি। বাবা-মা এই বিয়ে মেনে নেননি। আনন্দ গরিব বলে ওঁদের মানতে অসুবিধা। আমাদের ছল করে বাড়িতে ডেকে এনে মারধর করেছেন।’’ আনন্দের কথায়, ‘‘শ্বশুরবাড়িতে আসার পর থেকেই নানা ভাবে আমাকে অপমান করা হচ্ছিল। তবুও সুস্মিতার কথা ভেবে মুখ বুজেছিলাম। ও অন্তঃসত্ত্বা। লাগাতার অপমান সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করা হয়। সুস্মিতা বাঁচাতে গেলে ওকেও মেরেছে।’’
অভিযোগ অস্বীকার করে বলাই বলেন, ‘‘আমাদের বদনাম করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)