আজ থেকে কার্যকর হল সংশোধিত ওয়াকফ আইন। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রক গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে আজ থেকে ওই আইন কার্যকর হওয়ার কথা জানিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সংসদে ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য না রাখলেও আজ একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে ওয়াকফ বিলকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করেছে বলে সরব হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বাজেট অধিবেশনের একেবারে শেষ পর্বে সংসদের উভয় কক্ষে দীর্ঘ আলোচনার পরে পাশ হয় বিতর্কিত ওয়াকফ বিলটি। ওই বিলটি মুসলিম বিরোধী বলে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। কিন্তু তা সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি ছাড়া কিছু নয় বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর কথায়, ‘‘তোষণের ওই বীজ রোপণ হয়েছিল স্বাধীনতার সময়ে। ভারতের সঙ্গে যে দেশগুলি স্বাধীন হয়েছিল তাদের কাউকে বিভাজনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি। কিন্তু কিছু ব্যক্তির রাষ্ট্রের স্বার্থের চেয়ে ক্ষমতার লোভে দেশের বিভাজন হয়। এতে কংগ্রেস ও কট্টর মুসলিমদের লাভ হয়। কিন্তু গরিব, পিছিয়ে থাকা পসমন্দা মুসলিম সমাজের কী লাভ হয়? তাঁরা অশিক্ষা ও আয় না থাকার চক্রে আটকে পড়েন। আর মহিলারা শাহ বানোর মতো অবিচারের শিকার হন।’’
২০১৩ সালে ওয়াকফ আইনে সংশোধনী এনেছিল তৎকালীন ইউপিএ সরকার। যাতে বলা হয়, অন্য আইন থাকলেও ওয়াকফ আইন শেষ কথা বলবে। মোদীর কথায়, ‘‘যে সংবিধান ন্যায়ের কথা বলে তার থেকেও শক্তিশালী ছিল ওই আইন। ওই আইন এনে কট্টরপন্থী মুসলিম ও ভূমি মাফিয়াদের হাত শক্ত করা হয়। তাঁদের জমি হরণের সুযোগ করে দেওয়া হয়। যে আইন ন্যায়ের জন্য ছিল তা ভয়ের কারণে পরিণত হয়।’’ মোদীর দাবি, ওই ছবি পাল্টে গরিব মুসলিমদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই সংশোধিত বিল আনা হয়।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)