ভোটপ্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র
নির্বাচনের কমিশনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রায় প্রতিটি সভাতেই কার্যত সেনার নামে ভোট চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু কমিশন কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, মোদীর বিরুদ্ধে কলকাতার এক ব্যক্তির দায়ের করা অভিযোগ কমিশনের সাইট থেকেই কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে। এই নিয়েই প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা। যদিও এটি নেহাতই প্রযুক্তিগত সমস্যা বলে দায় এড়াতে চাইছে কমিশন।
অভিযোগকারী মুম্বই নিবাসী কলকাতার বাসিন্দা মহেন্দ্র সিংহ। এ মাসের গোড়ার দিকে মহারাষ্ট্রের লাতুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় মোদী বলেছিলেন, পুলওয়ামায় যে জওয়ানরা শহিদ হয়েছেন এবং পাকিস্তানের বালাকোটে যাঁরা অভিযান চালিয়েছিলেন, আপনাদের ভোট তাঁদের উৎসর্গ করুন। মোদীর এই মন্তব্যের পর গত ৯ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে বিধিভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করেন মহেন্দ্র। তার দু’দিন পর মহারাষ্ট্রের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) কাছে মোদীর ওই বক্তব্যের ভিডিয়ো-সহ রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু বুধবার থেকেই ওই অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের সাইট থেকেই কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে। সাইটে দেখানো হচ্ছে, ‘রিজলভড’। অর্থাৎ অভিযোগের সমাধান হয়ে গিয়েছে। মহেন্দ্র জানিয়েছেন, তিনি যে পদ্ধতিতে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাতে সেটা কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখানোর কথা। মহারাষ্ট্রের সিইও-র অফিসে বুধবার পর্যন্ত যে ৪২৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে, সেগুলি ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বুধবার থেকে মোদীর বিরুদ্ধে ৯ এপ্রিলের ওই অভিযোগের সমাধান হয়ে গিয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার সময় ওই অভিযোগ নিয়ে তথ্য প্রমাণ পেশ করার কথা মহারাষ্ট্রের সিইও-র। অথচ তার আগেই সাইটে দেখানো হচ্ছে অভিযোগের সমাধান হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার নদিয়ার নির্বাচনী আধিকারিক অর্ণব রায়
আরও পড়ুন: আসানসোলে বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মার, আক্রান্ত আরও ৫, কাঠগড়ায় তৃণমূল
কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগ ভিত্তিহীন হলে সেটা যেমন জানাতে হয়, তেমনই অভিযোগের সারবত্তা থাকলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও ওয়েবসাইটে দেখানোর কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সে সব ব্যাখ্যা না দিয়েই রিজলভড লিখে দেওয়ায় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। ক্ষুব্ধ অভিযোগকারী মহেন্দ্র সিংহও। তাঁর বক্তব্য, দু’সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পরও ওই অভিযোগের বিচার তো হলই না, উল্টে তার পরও প্রতিটি সভায় সেনাকে রাজনৈতিক প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে যাচ্ছেন মোদী।
তবে কমিশন জানিয়েছে, ‘রিজলভড’ দেখানো নিছকই প্রযুক্তগত সমস্যা। ওই অভিযোগের সমাধান হয়নি। মহারাষ্ট্রের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের মাধ্যমে লাতুরের সংশ্লিষ্ট অফিসারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কমিশনের পদস্থ এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযোগটি এখনও বিচারাধীন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy