গুরুদ্বার দরবার সাহিব করতারপুর।—ফাইল চিত্র।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বাতিল হয়েছে আগেই। এ বার করতারপুর নিয়ে ভারত-পাক বৈঠকও সঙ্কটে। ধর্মীয় করিডর নিয়ে আগামী ২ এপ্রিল ওয়াঘা সীমান্তে দ্বিতীয় দফার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ভারত-পাকিস্তানের। কিন্তু পাক প্রতিনিধিদলে দুই খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীকে সামিল করায় আপত্তি তুলেছে ভারত। তা নিয়ে পাকিস্তান তাদের বক্তব্য না জানানো পর্যন্ত বৈঠক স্থগিত রাখা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।
করতারপুর করিডর নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বুধবার ১০ সদস্যের একটি কমিটির ঘোষণা করেন পাকিস্তানের তথ্য বিভাগের মন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হুসেন। তাতে দুই খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গোপাল সিংহ চাওলা ও মণীন্দ্র সিংহ তারার নামও ছিল। গোপাল সিংহ চাওলার সঙ্গে আবার জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা প্রধান হাফিজ সইদের দহরম মহরম রয়েছে বলে অভিযোগ। ২৬/১১ মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রেও তিনি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ।
পাক প্রতিনিধি দলে এই খালিস্তানি নেতাদের অন্তর্ভুক্তিতেই আপত্তি জানিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে পাক পাক ডেপুটি হাই কমিশনারকে ডেকে তা জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পাকিস্তানকে সাফাই দিতে বলা হয়েছে। তার পরই বিচার বিবেচনা করে পরবর্তী বৈঠক নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
#Pakistan regrets the Indian decision to postpone the upcoming #Kartarpur meeting, jointly agreed by both sides on 14 March 2019. The meeting was to discuss & find consensus on outstanding issues.
— Spokesperson 🇵🇰 MoFA (@ForeignOfficePk) March 29, 2019
(1/2)
মহম্মদ ফয়জলের টুইট।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা ধাক্কা তৃণমূলের, হু হু করে ভাইরাল র্যাপ ভিডিয়ো
বৈঠক স্থগিত রাখা নিয়ে এ দিন বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, “করতারপুর নিয়ে বিশেষ কমিটি গড়েছে পাকিস্তান। তাতে বিতর্কিত খালিস্তানি নেতাদের সামিল করা হয়েছে। এতে যে আমাদের আপত্তি রয়েছে, পাকিস্তানকে ইতিমধ্যেই তা জানিয়েছি। ওদের সাফাই পেলে তবেই পরবর্তী বৈঠকের দিন ক্ষণ স্থির হবে।” বিদেশমন্ত্রক সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে চাই আমরা। কিন্তু দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনওরকম আপসে যেতে চাই না।”
তবে ভারতের এই সিদ্ধান্তে চটেছে পাকিস্তানের বিদেশ দফতর। তাদের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল টুইটারে লেখেন, ‘দু’পক্ষের যৌথ সম্মতিতেই বৈঠক স্থির হয়েছিল। ভারতের বৈঠক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে হতাশ আমরা। এর আগে ১৯ মার্চ ভাল ভাবেই বৈঠক মিটেছিল। তার পরও আমাদের মতামত না নিয়ে শেষ মুহূর্তে বৈঠক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। ওদের এই সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ।’
Last minute Postponement without seeking views from #Pakistan and especially after the productive technical meeting on 19 March is incomprehensible.
— Spokesperson 🇵🇰 MoFA (@ForeignOfficePk) March 29, 2019
(2/2)
মহম্মদ ফয়জলের টুইট।
আরও পড়ুন: শাস্তি রদের আবেদন নাকচ আদালতে, লোকসভা ভোটে লড়তে পারবেন না হার্দিক
তবে ১৯ মার্চের যে বৈঠকের কথা উল্লেখ করেছেন , সেখানেও দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল বলে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ধর্মীয় করিডর হয়ে প্রতিদিন ৫ হাজার এবং বিশেষ দিনগুলিতে ১০ হাজার পুণ্যার্থী যাতে করতারপুর গুরুদ্বারে যেতে পারেন, তার জন্য আর্জি জানিয়েছিল ভারত। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি পাকিস্তান। প্রতিদিন ৫০০-৭০০ পুণ্যার্থীকে সেখানে প্রবেশ করতে দিতে রাজি ছিল তারা। এমনকি নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে পুণ্যার্থীদের হেঁটে গুরুদ্বার পৌঁছনোতেও আপত্তি তুলেছিল তারা।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy