কানহাইয়া কুমার। ফাইল চিত্র।
বিতর্কিত তিন জনের মধ্যে দু’জনে আগেই ডক্টরেট হয়েছেন। আর আজ পিএইচডি প্রাপ্তির শেষ ধাপ মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার।
সংসদ হামলার আসামি আফজল গুরুর পক্ষে ২০১৬ সালে জেএনইউ চত্বরে অনুষ্ঠান করার অভিযোগ ওঠে কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ-সহ বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। দেশদ্রোহের অভিযোগে জেলেও যেতে হয় কানহাইয়া, খালিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে। জনগণের টাকায় কানহাইয়ারা পড়াশোনা করেন না, রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করেন, এমন কথাও সে সময়ে বিজেপিপন্থীদের তরফে বলা হয়েছিল।
সম্প্রতি ওই মামলায় পাটিয়ালা আদালতে চার্জশিটও জমা দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তবে দিল্লি সরকার ও দিল্লি পুলিশের টানাপড়েনে ওই মামলার শুনানি এখনও
শুরু হয়নি।
জেএনইউ সূত্রে জানা গিয়েছে, কানহাইয়া আফ্রিকান স্টাডিজ-এ গবেষণা করছিলেন। তিনি আজ টুইট করেছেন, ‘‘আমার পিএইচডি থিসিসের মৌখিক পাশ করার আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। যাঁরা আমার আন্দোলনে সব সময়ে পাশে ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি শুরু হয়, জেএনইউ চত্বরে ওই অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো ‘ডক্টরড’ (বিকৃত) ছিল, আর কানহাইয়া এখন ‘ডক্টর’ হলেন।
অনির্বাণের পিএইচডি প্রাপ্তি আগেই হয়েছিল। তবে গত জুলাইয়ে উমর খালিদের গবেষণাপত্র জমা নিতে অস্বীকার করেন জেএনইউ কর্তৃপক্ষ। বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিযুক্ত কমিটি তদন্তে দোষী সাব্যস্ত করেছে উমর, অনির্বাণদের। তাই তাঁর গবেষণাপত্র নেওয়া সম্ভব নয়। পরে দিল্লি হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে গবেষণাপত্র জমা দেন উমর। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির বিবেচনায় দোষী বলে গণ্য হওয়ায় এখনও পিএইচডি শংসাপত্র হাতে পাননি উমর ও অনির্বাণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy