Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Abhinandan Varthaman

হালকা খাবার, ভাল ঘুমের পর আজ হাসপাতালে চলছে অভিনন্দনের নানা পরীক্ষা

তার পরই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে উইং কমান্ডারকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় অমৃতসর বিমানবন্দরে। রাত তখন প্রায় সাড়ে ১০টা। সেখান থেকে বিশেষ বিমানে করে দিল্লির পালম এয়ারবেসে নিয়ে যাওয়া হয় অভিনন্দনকে। ঘড়ির কাঁটা তখন রাত সাড়ে ১১টা। সীমান্ত থেকে দিল্লি— দীর্ঘ এই সফরে অভিনন্দনের সঙ্গী ছিলেন শুধুমাত্র কয়েক জন সেনা অফিসার।

বায়ুসেনা হাসপাতালে অভিনন্দন বর্তমান। তাঁর সঙ্গে দেথা করতে গিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ছবি প্রতিরক্ষামন্ত্রকের টুইটারের সৌজন্যে।

বায়ুসেনা হাসপাতালে অভিনন্দন বর্তমান। তাঁর সঙ্গে দেথা করতে গিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ছবি প্রতিরক্ষামন্ত্রকের টুইটারের সৌজন্যে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৯ ১৫:৪৩
Share: Save:

ওয়াঘা-অটারী সীমান্ত দিয়ে শুক্রবার রাতেই দেশে ফিরেছেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পাক সেনার হাতে আটক হন অভিনন্দন। দীর্ঘ ৫৮ ঘণ্টা পাকিস্তানের কব্জায় ছিলেন। দেশের মাটিকে পা রাখার পরই বলেছিলেন, ‘ভাল লাগছে।’ ব্যস ওইটুকুই।

তার পরই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে উইং কমান্ডারকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় অমৃতসর বিমানবন্দরে। রাত তখন প্রায় সাড়ে ১০টা। সেখান থেকে বিশেষ বিমানে করে দিল্লির পালম এয়ারবেসে নিয়ে যাওয়া হয় অভিনন্দনকে। ঘড়ির কাঁটা তখন রাত সাড়ে ১১টা। সীমান্ত থেকে দিল্লি— দীর্ঘ এই সফরে অভিনন্দনের সঙ্গী ছিলেন শুধুমাত্র কয়েক জন সেনা অফিসার।

এর পর পালম এয়ারবেস থেকে অভিনন্দনকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির সুব্রত পার্কের এয়ারফোর্স সেন্ট্রাল মেডিক্যাল এসটাব্লিশমেন্ট-এ। বায়ুসেনার ওই হাসপাতালে রাতেই প্রথামিক একটা মেডিক্যাল চেকআপ হয় অভিনন্দনের। পরিবারের সঙ্গে এক ঝলক দেখা হয়। তবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোনও বাক্যবিনিময়ই হয়নি তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, রাতে হালকা খাবার খেয়েছেন অভিনন্দন। একটা নাগাদ ঘুমোতেও যান।

আরও পড়ুন: প্রত্যাবর্তন: ডান চোখে আঘাতের চিহ্ন, দেশের মাটিতে পা দৃপ্ত অভিনন্দনের

শনিবার সকাল সকালই বিছানা ছাড়েন অভিনন্দন। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, রাতে ভাল ঘুম হয়েছে উইং কমান্ডারের। সকালের জলখাবারের পর ফের একপ্রস্থ মেডিক্যাল চেক আপ হয় তাঁর। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, সারা দিন ধরে নানা পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে অভিনন্দনকে। এর মধ্যে রয়েছে সাইকোলজিক্যাল অ্যানালিসিস টেস্ট (পিএটি), ডিব্রিফিং এবং বাগ স্ক্যানিং।

সাইকোলজিক্যাল অ্যানালিসিস টেস্টের মাধ্যমে অভিনন্দনের বর্তমান মানসিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। পাক সেনার হাতে আটক হওয়া থেকে শুরু করে পর পর যে ঘটনাগুলো তাঁর সঙ্গে ঘটেছে তাতে কতটা ট্রমায় রয়েছেন সেটাও পরীক্ষা করে দেখা হবে। পাশাপাশি, ও রকম একটি পরিস্থিতি কী ভাবে সামলেছেন, তাঁকে পাকিস্তানে কোনও মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে কিনা সব কিছুই এই টেস্টের মধ্য দিয়ে জানার চেষ্টা করা হবে বলে বায়ুসেনা সূত্রে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: পাক ডেরায় ৫৮ ঘণ্টা, উইং কমান্ডার অভিনন্দনের ডায়েরি

সাইকোলজিক্যাল অ্যানালিসিস টেস্ট হওয়ার পর পরবর্তী ধাপ ‘ডিব্রিফিং’। বায়ুসেনা সূত্রে জানানো হচ্ছে, পাকিস্তানে তাঁর সঙ্গে কী কী করা হয়েছে সেটা সবিস্তারে শোনা হবে। শুধু তাই নয়, এখন থেকে তিনি কী ভাবে এবং কতটা কথা বলবেন সেটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী হোক বা পরিবারের সদস্য, এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কতটা বলবেন সেটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে।

এর পরের ধাপ ‘বাগ স্ক্যানিং’। শরীরে কোনও চিপ আটকে দিয়েছে কি না বা কোনও গোপন ক্যামেরা, বাগ স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে এ সবই চিহ্নিত করা হয়। এক জন বায়ুসেনা অফিসার। দেশের নিরাপত্তার খুঁটিনাটি তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে। দেশের নিরাপত্তার খাতিরেই অভিনন্দনের বাগ স্ক্যানিং করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে কত দিন ধরে এই পরীক্ষাগুলো চলবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি বায়ুসেনা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE