ডান্স বার ফের খুলছে মহারাষ্ট্রে। খুলছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই। মুম্বই-সহ গোটা রাজ্যে ডান্স বার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেবেন্দ্র ফডণবীসের সরকার। বার এবং রেস্তোরাঁ মালিকরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে রাজ্যের আইনকে চ্যালেঞ্জ জানান। বৃহস্পতিবার তার প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, মামলার ফয়সলা না হওয়া পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ডান্স বার নিষিদ্ধ করা যাবে না।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আপাতত ডান্স বার চলতে দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস বৃহস্পতিবার পর পর টুইট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ডান্স বার বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা থেকে সহজে পিছু হঠবেন না তিনি। আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ আসার সঙ্গে সঙ্গে ফডণবীস এদিন টুইট করেন, ‘‘আমরা আগের (কংগ্রেস) সরকারের তৈরি আইনকেই মেনে চলছি।’’ এর পর তিনি আবার টুইট করেন। বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট ডান্স বার নিষিদ্ধ না করে নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা বললেও, আমরা এখনও নিষিদ্ধ করারই পক্ষে, নিজেদের দাবি জোরের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে তুলে ধরব।’’
মুম্বই-সহ গোটা মহারাষ্ট্রে অন্তত ৭০০ ডান্স বার চলে। প্রায় ৭৫ হাজার মহিলা এই সব ডান্স বারে কাজ করেন। চটুল গানের ছন্দে বলিউডি নাচ দেখানোই তাঁদের কাজ। এর জন্য বেতনের পাশাপাশি বারের অতিথিদের কাছ থেকে মোটা নগদ টিপ্সও তাঁরা পান। মহারাষ্ট্রের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতার দাবি, ডান্স বারগুলির আড়ালে চলে যৌন ব্যবসা।কিন্তু ডান্স বারের কর্মীরা পাল্টা বলছেন, বার বন্ধ করে দেওয়ার অর্থই হল তাঁদের যৌন পেশার দিকে ঠেলে দেওয়া। ২০০৫ সাল থেকেই ডান্স বারগুলিতে পুলিশি হানাদারি শুরু হয়। কিন্তু ২০১৩ সালে আদালত বার নিষিদ্ধ করার আইন বাতিল করে দেয়। তার পর ২০১৪ সালে ফের ডান্স বার বন্ধ করতে আইন প্রণয়ন করে তৎকালীন সরকার। সেই আইনকেই কঠোরভাবে বলবৎ করে মহারাষ্ট্র থেকে ডান্স বার মুছে দিতে চাইছেন ফডণবীস। বার মালিকদের সংগঠন বিপদ বুঝে আইনটিকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৫ নভেম্বর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy